সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখন দেখি সবাই আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে। পুলিশ ডাক্তার সবাই এখন আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে। যে কারনে আওয়ামীলীগের আসল ত্যাগী নেতাকর্মীরা পিছিয়ে যাচ্ছে।’ এ কারনে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মত ঘটনা এখনও ঘটতে পারে। কারন এখন দেশে ষড়যন্ত্র চলছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ৩১ আগস্ট শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনের মাঠে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়ন রয়েছে। ইতিমধ্যে শামীম ওসমানের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শামীম ওসমানের আপন শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর বিরুদ্ধেও একটি মামলায় মাদক ব্যবসায়ীর কথা উল্লেখ করে পুুলিশ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বেশকজন কাউন্সিলরকেও মাদক ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ। শামীম ওসমান তাদের ছাড়াতে এসপি অফিসে গেলেও পুলিশ তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠান। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগের পরিবারকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ফতুল্লার বাংলা ভবনে প্রতিবাদ সভাও করেছিলেন শামীম ওসমান। যেখানে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়েছিলেন। এর তিন দিন পর এসপি অফিসে যান শামীম ওসমানের আরেক ভাই জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমান। ওইদিন এক মতবিনিময় সভায় এসপি হারুন সেলিম ওসমানকে সাফ জানিয়ে দেন, কোন মাদক ব্যবসায়ী, জুয়ারী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যূকে গ্রেপ্তারের পর যদি দেখা যায় লোকটি আপনাদের তাহলে কোন সমস্যা নেই। আপনারা আদালত থেকে জামিন করিয়ে নিবেন কেউ জানবে না। আমরা গ্রেপ্তার করবো অ্যাস পার ল’ আপনারা জামিন করিয়ে নিবেন।’
এদিকে শনিবার এ অনুুষ্ঠানে শামীম ওসমান আরও বলেন, আমাকে দুইবার মন্ত্রী করতে চেয়েছিল আমি মন্ত্রী হইনাই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি করতে চেয়েছিল, আমি হইনি। আমরা রাজনীতি করি মানুষকে ভালবেসে, দেশকে ভালবেসে, রাজনীতি করি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার জন্য।
তিনি বলেন, এখন সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করলে সমস্যা, সবাইকে আওয়ামীলীগার মনে করলে সমস্যা। অমুক্তিযোদ্ধাদের ধাক্কায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা চলে যায়। এখন চরম দুশ্চরিত্র দুর্নীতিবাজরাও দুর্নীতি মুক্ত করার কথা বলছে। সিমটম ভাল না।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ডা. চৌধুরী ইকবাল বাহারের সভাপতিত্বে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব ডা. এমএ আজিজ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমূখ।