সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হুশিয়ারী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে কাউকে খেলতে দেওয়া হবে না। যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে খেলতে চাইছে তারা হয়তোবা ভুল করে খেলছেন। যাদের সঙ্গে ছাত্র জীবনে খেলে আসছি তারা এখন মনে করছেন নাটক খেলবেন। আগে বয়স কম ছিল তখন চিন্তা করি নাই। এখন চিন্তা করি।
শামীম ওসমান জানান, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বিশাল জনসভা হবে। সব কিছুর বক্তব্য দেওয়া হবে ৭ তারিখে। তিনি বলেন, এটা চাষাঢ়া শহীদ মিনার অথবা আশে পাশে সেখানেই সমাবেশটি হবে। আর যারা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধেই এ সমাবেশ হবে। সমাবেশের আওয়ামীলীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের দেখে তাদের বুক থর থর কাঁপে। এ সমাবেশ দেখে শেখ হাসিনা যেন গর্ববোধ করতে পারে।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘একটা গভীর ষড়যন্ত্র সারা দেশে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জও তার চেয়ে বিচ্ছিন্ন না। ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে স্থানীয় ষড়যন্ত্র যোগ হয়েছে। এর পেছনে টাকাও রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক টাকা এসেছিল এবং সেই দিন আমাকে মারার জন্য বোমা হামলা হয়েছিল। আমার ২০ জন কর্মী মারা গিয়েছিল। সেই ব্যাথা আজও ভুলতে পারিনা। এখনো সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই বুঝি কি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিচ্ছু করতে পারবে না। কারা করার চেষ্টা করছে সেটাও বুঝি। জামাতের সাথে কারা কানেকশনে যাচ্ছে, কারা জামাতকে নিবন্ধন দিচ্ছে, কাদের নিয়ে কোথায় মিটিং হচ্ছে, কোন হোটেলে গিয়ে বসছে, সব খবরই আমি পাই এবং তা সবার আগেই পাই। আমি এগুলো নিয়ে বিচলিত নই।
৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় আকবর টাওয়ারে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামীলীগের এই প্রভাবশালী আরও বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমি নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম। তখন অনেকেই অনিশ্চয়তায় ছিলেন। সেদিন লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। সে রাতেই সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে ঘেরাও করেছিল তখন আপনাদের মত হাজার হাজার হাজার মানুষ খেয়ে না খেয়ে আমাকে ১৭ দিন পাহারা দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীও সেদিন আমাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করবো কারো ডাকের অপেক্ষায় না থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে যোগ দিবেন।
মতবিনময় সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ, এমএ আউয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএম শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালী মাহামুদ, বদিউল আলম বদু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোমেন শিকদার, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভুইয়া, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাস্টার, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সহসভাপতি শরিয়তউল্লাহ বাবু প্রমূখ।