অনুমতি ছাড়া আওয়ামীলীগ সমাবেশ করে কিন্তু বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে সরকারি দল আওয়ামীলীগ অনুমতি ছাড়াই সভা সমাবেশ করছে, কিন্তু বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেছেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করবো, সেই মানববন্ধনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তেমনি আজকে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। মানুষকে তার কথা বলতে দেয়া হচ্ছেনা। সরকারি দল সারা নারায়ণঞ্জে মিটিং মিছিল করে কোন অনুমতি না নিয়ে, অথচ জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হয়না।

১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বৃষ্টিতে ভিজে এসে অবস্থান নেন। ওই সময় সদর মডেল থানা পুলিশ নেতাকর্মীদের মার্কেটের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে মার্কেটের সিড়িতে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে পুলিশি বাধা পেরিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধনে সাখাওয়াত হোসেন খান এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্ধি করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছি। সেই সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। আজকে বিএনপিকে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়না। আজকে সহনীয় কর্মসূচি মানববন্ধন, সেই মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। আজকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

ছবি- মানববন্ধনের প্রস্তুতির সময় সাখাওয়াত দ্বিতীয় তলায়, রাস্তায় লাঠি হাতে পুুলিশের অবস্থান।

একই সঙ্গে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে দায়ের ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বলেন, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ পরে সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন।

 

এর আগে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এক ঘন্টা পুলিশে অবরুদ্ধ ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। পরবর্তীতে পুলিশি বাধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে এর আগে বিকেল থেকেই মানববন্ধনের আয়োজিত স্থানের সামনে পুুলিশ অবস্থান নেন। সাখাওয়াত হোসেন খান যখন অবরুদ্ধ পুলিশি বাধায় তখন রাস্তার সামনে লাঠি হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পুুলিশকে।

ওই সময় নেতাকর্মীরা মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অবস্থান নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় শ্লোগান দেন। একই সময়ে সাখাওয়াত হোসেন খানও পুুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সাখাওয়াত হোসেন খান রাস্তায় নামার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখালে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার করলে করেন, তবুও আমরা কর্মসূচি পালন করব।’

প্রায় সোয়া এক ঘন্টা পর নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিয়ে মানববন্ধনে দাড়িয়ে যান। তবে মার্কেটের দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলার বাড়ান্দায় অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের বের হতে দেয়নি পুুলিশ। পুলিশ মার্কেটের সিড়িতে অবস্থান নেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের একাংশ অবস্থান নেন এবং বাকি নেতাকর্মীরা মার্কেটের দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলায় অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। মানববন্ধনে সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। যেখানে চার দিকে পুুলিশ অবস্থান নেন। বক্তব্য শেষে সাখাওয়াত হোসেন খান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এই কর্মসূচিতে সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমান উদ্দীন আমান, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান, হাজী গোলজার হোসেন খান, ইসমাঈল হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহিউদ্দীন শিশির, মীর আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আকবর হোসেন, জেলা বিএনপির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মন্টু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, বন্দর থানা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু, লিংরাজ খান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ, সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির, সজীব খন্দকার, লিংকন খান, স¤্রাট হাসান সুজন, সুমন হাওলাদার, আল আমিন ভূ্ইঁয়া, মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, অপু রহমান, ফয়সাল সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতাকর্মী।