সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেঅএম শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানকে নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রধান।
আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল লিখেছেন, অয়ন ওসমান হচ্ছেন সেই শামীম ওসমানের ছেলে যিনি নারায়ণগঞ্জবাসীকে কলংক ও অভিশাপ মুক্ত করেছেন এবং আধুনিক নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার। অয়ন ওসমান সেই সন্তান যাকে নিয়ে পিতা-মাতা গর্ববোধ করেন। স্ত্রীর কাছে যিনি একজন আদর্শ স্বামী। নারায়ণগঞ্জের লাখো তরুণের আদর্শ। বন্ধুদের কাছে যিনি একজন প্রকৃত বন্ধু। বন্ধু ছোট ভাই সহ সবাই যাকে স্নেহ ভালবাসা ও ভরসার আশ্রয় স্থল মনে করে। যিনি খেলাধুলা, ব্যবসা বাণিজ্য, রাজনীতিতে, সকলকে উৎসাহ প্রদান, নেতৃত্ব গঠনে সহায়তা সহ আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। প্রতিভাবানদের প্রতিভা বিকাশে উৎসাহ ও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন যেমন-‘ল্যাম্বরগিনি’।
অয়ন ওসমানের সমাজ সেবার আরও ভূমিকা তুলে ধরে রাফেল র্লিখেন, যিনি বিভিন্ন উৎসবে গরীব দুঃখী পথশিশুদের মাঝে জামা কাপড় সহ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে থাকেন। যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারে না, মেয়ের বিয়ে দিতে পারেনা, পড়ালেখা করতে পারেনা এরকম বহু মানুষের সমস্যার দায়িত্ব নিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছেন যারা ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। মসজিদ মাদ্রাসায় যিনি সহযোগিতা করে থাকেন। ডেঙ্গু মহামারি রোধে মশক নিধন কর্মসূচি নিয়েছেন মাসব্যাপী নিজস্ব অর্থায়নে। ভালবেসে যিনি তার বন্ধু বান্ধব ভাই তথা সকলকে একজন অভিভাবকের ন্যায় সব সময় আগলে রাখেন এবং সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করেন।
রাফেল আরো লিখেছেন, অয়ন ওসমানের রাজনীতি সবার নিকট দৃশ্যমান। যার বুদ্ধি পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ আজ সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে। যে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রীয় ও জেলার প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠান সফল করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডে অনুপ্রানিত হয়ে বিভিন্ন মিছিলে হাজার হাজার ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
রাফেল দাবি করেন- হ্যাঁ! তিনি শাসন করেন, যে শাসনের ফলে আজ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর নামে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার মামলা ইত্যাদি কিছুই নেই। নেই কোন বিতর্কিত নেতাকর্মী। তিনি ছাত্রলীগ কমিটি গঠনে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার কমিটির ব্যাপারে একটাই চাওয়া ছিল যাতে এই কমিটিতে কোন অছাত্র, সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চাদাঁবাজ, বিএনপি-জামাত শিবিরের দোসর, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কেউ যাতে ঢুকে না পড়ে। ছাত্রলীগ কমিটি যাতে হয় ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই এবং প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর তৃণমূল সৈনিকদের দিয়ে সেদিক খেয়াল রেখেছেন। আজ তারই সুফল নারায়ণগঞ্জবাসী পাচ্ছে। ছাত্রলীগ কাজ করছে জনগণের জন্য মানবতার জন্য। ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির সকলের সাথে সকলের রয়েছে এক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক এ যেন সকলে মিলে একটি পরিবারের ন্যায়। আজ তাদের পরিবারের কারনেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামিলীগ, তাদের সকল অঙ্গসংগঠনের মাঝে এক অভূতপূর্ণ মিল ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যার কারনে বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামীলীগ অনেক শক্তিশালী।
সর্বশেষ আরেকটি কথা বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির আগের কমিটি এহসানুল হক নিপুর (মামা) বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি জামাত আমলে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠীর হত্যা, জেল, জুলুম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন। সাবেক কমিটি সাফায়েত আলম সানি ভাই ও সুজন ভাইয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা অনেক সুনাম অর্জন করে।
‘প্রসঙ্গত কিছু অসাধু পত্রিকার মালিক ও তাদের হলুদ সাংবাদিকেরা টাকার লোভে পরে আজ তারা বিএনপি জামাতের দোসর হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে। আজ তারা জোটবদ্ধ হয়ে নেমেছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে। আজ তারা টাকায় বিক্রি হয়ে অন্যের ভাল কর্মকান্ডে ঈর্ষানিত হয়ে নিজের পত্রিকার বিক্রি বাড়াতে এমন মানুষের বিরুদ্ধে লিখতেও দ্বিধাবোধ করছে না যাদের পায়ের নখের যোগ্যতাও তাদের নেই। তোমাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তোমরা কারও বিরুদ্ধে লিখার আগে তোমরা তার চেয়ে ভাল কিছু করার চেষ্টা করো পরে অন্যের সম্পর্কে লিখ। বুঝছ। কারও পিছনে লেগে থাকা কুকুরের কাজ, ভাল মানুষের নয়।’