নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.সেলিন হায়াৎ আইভী বলেছেন, একসাথে বন্ধুরা সবাই সিনেমা দেখতে যাওয়া, একসাথে ফ্যামিলি নিয়ে যাওয়া সেই সব কিছুই মিস করে আমাদের নতুন প্রজন্ম। আজকের এ আয়োজন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য করেছি। যদিও জায়গাটা খুবই ছোট। মাত্র ৩৫ জনের। তবে আমরা শুরু করলাম এটা দিয়ে। আমাদের কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরেকটু বড়। মন্ডলপাড়ায় ‘সিটি সেন্টার’ নামে প্রায় ২৫তলা একটি বিল্ডিং করতে যাচ্ছি। সেখানেও একটি সিনেকমপ্লেক্স থাকবে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাকারের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু হওয়া আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘সিনেস্কোপ’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নদীর ওই পাড়ে কদম রসুল কলেজের সামনে শেখ হাসিনা নব থিয়েটার করছি।যে নব থিয়েটার আমরা করতে যাচ্ছি সেখানেও সাইন্টিফিক (বিজ্ঞানভিত্তিক) অনেক কিছু করতে চাচ্ছি যা বাচ্চাদের সাথে অনেক কিছুর পরিচয় করিয়ে দিবে।
তিনি আরও বলেন, একেবারে মাঠ থেকে শুরু করে সব কিছু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন করে যাচ্ছে। যাতে আমাদের বাচ্চারা যেন মুরগির বাচ্চার মত ঘরের ভেতরে বড় না হয়। তাঁদের সম্পর্ক যাতে শুধু মোবাইল সেটের সাথে না থাকে। আমরা যেভাবে উপভোগ করেছি তারাও যাতে সেভাবে করতে পাবে।
উৎসবের আয়োজক চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাকার এর প্রতিষ্ঠাতা, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সিনেপ্লেক্স এর উদ্যোক্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ডালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এফএম এহতেশামুল হক, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভাবনী শংকর রায়, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমল আকাশ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ডালিম বলেন, চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। বর্তমানে ঘরে ঘরে টেলিভিশন,ইন্টারনেটের ফলে ঘরে বসেই সিনেমা দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা। তাই সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার প্রবণতাটা অনেকটা কমে গেছে। আমরা এই ধারাটাকে পুনরায় চালু করতে চাই।একটু নতুন আঙ্গিকে। যার প্রত্যক্ষদর্শন হল সিনেস্কোপ। আশা করি সিনেস্কোপ’র এ আয়োজন নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে ভালো লাগবে।
মসিহ উদ্দিন শাকের পরিচালিত ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ প্রদর্শনের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয়। সপ্তাহব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে ১৪টি সিনেমা। সিনেমাগুলো হলো- সুজন সখী, গোলাপী এখন ট্রেনে, অশিক্ষিত, সূর্য দীঘল বাড়ী, পুরস্কার, ছুটির ঘণ্টা, ঘুড্ডি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না, স্বপ্নডানায়, ডুব সাঁতার, অজ্ঞাতনামা, জালালের গল্প, মাটির প্রজার দেশে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ডালিম জানান, উৎসবের সাতদিন প্রতিটি ছবির দুটি করে প্রদর্শনী হবে। বেলা ১১টা, ২টা, ৫টা ও রাত ৮টায় হবে প্রদর্শনী। ছবি দেখার জন্য টিকিট কাটতে হবে দর্শকদের।