সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পিয়নই হয়ে ওঠেছেন চিকিৎসক। তার হাতুরি চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যু ঘটেছে। পঙ্গু হয়ে গেছে আরও তিনটি ছাগল।
অভিযোগ ওঠেছে, প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পিয়ন দিয়ে চিকিৎসা করা হয় বিভিন্ন প্রাণীর।
২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পিয়নের ইনজেকশনে টুটুল মিয়া ইনজেকশন দিয়ে করে একটি উন্নত জাতের ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আরো তিনটি ছাগল ও একটি ভেড়া পঙ্গু হয়ে যায়।
তবে এ ঘটনার বিষয়ে দায়ী করেছেন ভেটনারী ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেনকে। ছাগলের মালিক অভিযোগ করেন ভূল চিকিৎসা ও পিয়নকে দিয়ে ইনজেকশন পুশ করানোর জন্যই ছাগলের এ অবস্থা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার উদ্ধবগঞ্জ এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে রিফাত রংপুর থেকে তোতাপুরি নামের উন্নত জাতের চারটি ছাগল কিনে নিয়ে আসে। ছাগলগুলোর সর্দি হলে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে যান।
এসময় ওই কার্যালয়ে কোন ভেটনারী ডাক্তার না থাকায় ওই অফিসের পিয়ন টুটুল মিয়া ছাগলগুলোকে ইনজেকশন দেন। এতে ঘটনাস্থলেই একটি ছাগলের মৃত্যু হয়। বাকী তিনটি ছাগল ইনজেকশন দেয়ার আধা ঘন্টা পর পঙ্গু হয়ে যায়।
ছাগলের মালিক রিফাত মিয়া অভিযোগ, ছাগলগুলোর সর্দি হলে পশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি ডাক্তার পিয়ন কাউকে চিনি না। পরে জানতে পারি আমার ছাগলগুলোকে যিনি ইনজেকশন দিয়েছেন তিনি এ হাসপাতালের পিয়ন। ইনজেকশন দেওয়ার পর পরই আমার একটি ছাগলের মৃত্যু হয়। আধাঘন্টা পর তিনটি ছাগল পঙ্গু হয়ে যায়।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পিয়ন টুটুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শাখাওয়াত স্যারের সাথে পরামর্শ করে ছাগলগুলোকে ইনজেকশন দিয়েছি।’ চিকিৎসা করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটনারী ইনচার্জ ডা. শাখওয়াত হোসেন জানান, লোকবল কম থাকার কারণে এ অফিসের ছোটখাট কাজগুলো পিয়ন দিয়ে করানো হয়। তবে নিয়ম না থাকলেও কোন উপায় থাকে না।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।