সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী।
২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে হাসান রাশেদকে প্রধান আসামি করে আরো ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়- উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহট্টা গ্রামের মজিবুর মিয়ার ছেলে বালু ব্যবসায়ীর মেহেদী হাসানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে গোহাট্টা এলাকায় মহসিন মিয়ার দোকানে মেহেদীকে পেয়ে পুণরায় চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান রাশেদ। তার দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রাশেদ লোক জন নিয়ে মেহেদী হাসানের উপর হামলা চালায়। এসময় তার ডাকচিৎকারে চাচী সুমি আক্তার, ফুফু শিল্পী আক্তার, চাচা মহসিন মিয়া ও চাচাতো ভাই তাবারক হোসেন ছুটে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় মেহেদীর হাত থেকে একটি রূপার ব্রেসলেট ও তার ফুফুর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়েনেয় রাশেদ ও তার লোক জন।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও দমদমা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে হাসান রাশেদ, উদ্ববগঞ্জ এলাকার হাবিবুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কাজল, মাঝিপাড়া গ্রামের রহিমা মেম্বারের ছেলে সজিব, রড় সাদীপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে জামাল, দলদার গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুজন, মাতু মিয়ার ছেলে সানি সহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, চাঁদার দাবিতে হাসান রাশেদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।