সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় আহতাবস্থায় অপহৃত হানিফকে উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাবের অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জহরী মহল্লা ও আদাবর থানাধীন শ্যামলী সাকিনস্থ রিং রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীর চক্রের মূল হোতা আসামি মোঃ কামরুল ইসলাম দিপু, সহযোগী আসামি মোঃ কামাল হোসেন ও মিঠুন কর্মকারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের দখল হতে মুক্তিপণের নগদ ২৪ হাজার ৫’শ টাকা, মোবাইল ফোন-৫টি, ১টি প্লাস, ইয়াবার মোড়ক সদৃশ্য ১টি বক্স, রক্ত মাখা বেড সিট-১টি, লাইলন রশি-১টি, বেল্ট-১টি, ইলেকট্রিক তার ও টিনের দ্বারা তৈরি শক দেওয়ার যন্ত্র-১টি উদ্ধার করা হয় ও ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় অপহৃত ভিকটিম মোঃ হানিফকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম মোঃ হানিফকে ডাবের পানির সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে সেবন করিয়ে অজ্ঞান করে মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে ঢাকার শ্যামলী রিং রোডে তাদের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে তারা হানিফকে আটকে রেখে চোখ, মুখ, হাত ও পা বেধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ভিকটিমের ছবি তুলে তার পরিবারের কাছে পাঠায় ও মুক্তিপণের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং বলে যে ভিকটিমসহ তারা নারায়ণগঞ্জে আছে। এর প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার র্যাব-১১ বরাবর একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির পর র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এবং আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের ও ভিকটিম মোঃ হানিফকে উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সকল স্থানে প্রকাশ্যে ও গোপনে তৎপরতা চালাতে থাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভিকটিমের পরিবারের কাছে চাহিদাকৃত মুক্তিপণের ২৫ হাজার টাকা ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন জহরী মহল্লা এলাকার মসজিদ মার্কেটের একটি বিকাশের দোকান হতে টাকা উত্তোলনের সময় অপহরণ চক্রের সদস্য মোঃ কামাল হোসেন ও মিঠুন কর্মকারকে মুক্তিপনের ২৪ হাজার ৫’শ টাকা সহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক আদাবর থানাধীন শ্যামলী সাকিনস্থ রিং রোড সংলগ্ন মোঃ আলম এর মাতৃছায়া ৭/৫/১ এর ফ্লাটের ৩য় তলায় পৃথক অরেকটি অভিযান
পরিচালনা করে অপহরণকারীর চক্রের মূল হোতা মোঃ কামরুল ইসলাম দিপুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় অপহৃত ভিকটিম মোঃ হানিফসহ মুক্তিপনের নগদ টাকা, মোবাইল ফোন-৫টি, ১টি প্লাস, ইয়াবার মোড়ক সদৃশ্য ১টি বক্স, রক্ত মাখা বেড সিট-১টি, লাইলন রশি-১টি, বেল্ট-১টি, ইলেকট্রিক তার ও টিনের দ্বারা তৈরী শক দেওয়ার যন্ত্র-১টি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র।