সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে ৩৭ বছর যাবত দূর্গা পূজা উদযাপিত হতে যাচ্ছে। উপজেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন থাকে এই মন্দিরে। এখানে প্রতি বছর পূজা উদযাপনকারী ভক্তগণের ভীড় দেখা যায়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।
৫ অক্টোবর শনিবার ছিল শ্রী শ্রী দূর্গা মায়ের মহা সপ্তমী। সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামের এই মন্দিরে ৩৭ম শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছে। মহা সপ্তমীতে শত শত ভক্তগণ পূজায় অংশগ্রহণ করেছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, গত ৩৭ বছর ধরে এই মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা শুরুতেই পরিচালনা করে আসছেন গোপাল চন্দ্র ধর। তার পরোলোক গমনের পর বর্তমানে তার বড় ছেলে দুলাল চন্দ্র ধর অতি সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপিত করে আসছেন। দূর্গা পূজার মধ্য দিয়ে সকল জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।
এই পূজা মন্ডপে ভিড় বাড়ার মধ্য দিয়ে জমে উঠছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীর দিনে শুক্রবার মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। শুক্রবার সকালে অল্পারম্ভ, বিহিত পূজা ও বোধনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠীর দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে কৈলাশ থেকে নেমে এসেছেন মর্ত্যলোকে। এরই সঙ্গে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা।
শুক্রবার ভোরে শুরু হয় ষষ্ঠীপূজার আয়োজন। ঢাকঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে দুর্গাকে পৃথিবীতে স্বাগত জানান ভক্তরা।
মন্দিরের আয়োজক পরিবারের সদস্য ও শারদাঞ্জলি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারধী কবি সুমী ধর বলেন, ‘মা দূর্গা কৈলাশ থেকে পৃথিবীতে এসেছেন। আমরা তাকে বরণ করে নিয়েছি, শুরু হয়েছে দূর্গা উৎসব। দূর্গা পূজার মাধ্যমে দেশের সব মানুষের মঙ্গল কামনা করছি।’
এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দূর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে উৎসবের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। শনিবার মহাসপ্তমী পূজা। এরপর রবিবার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা। সোমবার মহানবমী আর মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে ঘোড়ায় চড়ে বিদায় নেবেন দেবী দূর্গা।
অন্যদিকে দূর্গা পূজা সামনে রেখে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পূজা উৎসবে নিরাপত্তা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো নির্দেশনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষেরা যেন সুন্দরভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিতে পারে।