সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত কর্মসূচিতে সক্রিয় ভুমিকা দেখালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আড়াইহাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন।
জানাগেছে, ১৩ অক্টোবর রবিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া বালু মাঠে সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ঝড়ো হতে থাকলে পুলিশ বাধার মুখে পড়েন নেতাকর্মীরা। তবে এই কর্মসূচিতে আড়াইহাজার থানা বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন মাহমুদুর রহমান সুমন।
কিন্তু নেতাকর্মীরা জমায়েত হওয়ার আগেই ঘটনাস্থল থেকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় অধ্যাপক মামুন মাহামুদের শার্টের কলার ধরে টানাটানি করে পুলিশ। আরেকজন পুুলিশ কর্মকর্তা মামুনের ঘাড় ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে সরিয়ে দেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই সময় জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির উপস্থিত ছিলেন না।
পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সেক্রেটারি মামুন মাহমুদ ও সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। আমরা আগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবার অধিকার রয়েছে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার। কিন্তু এ সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশে পুলিশের এ ব্যবহার কাম্য নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রনি, সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সহ-সভাপতি মাহমুদুল রহমান সুমন, যুগ্ম সম্পাদক এম এ আকবর, মোশারফ হোসেন, মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সদস্য আফজাল হোসেন, আড়াইহাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকির, জেলা তাতী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শুক্কুর মাহামুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অলিউল্লাহ খোকন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল হক মামুন ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ ফারুক প্রমূখ।