সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে শহর পুরো এলাকার দায়িত্ব ছিল তৈমূর আলমের মুঠোবন্ধি। দাপট ছিল একচ্ছত্র। সেই তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে আইন পেশায় তারই জুনিয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সঙ্গে এবার শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন আগামী ২৭ অক্টোবর রবিবার। বর্তমানে তারা দুজন পৃথকভাবে রাজনীতি করছেন।
মুলত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে মিশে গেছেন বিএনপির আলোচিত এই দুই নেতা। মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তুর বিরোধীতা করে ওইদিন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন খোকন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান। ফলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের দুটি ব্যানারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করা হবে নারায়ণগঞ্জে। ওইদিন জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। তবে কার্যত যুবদলের বড় অংশের নেতারা রয়েছেন তৈমূর আলমের বলয়েই।
সূত্রে জানাগেছে,আগামী রবিবার ২৭ অক্টোবর যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহানগর যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সভাপতি খোরশেদ ও সেক্রেটারি মন্তু। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
অন্যদিকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে একইদিন মহানগর যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভাও করেছেন শোখন ও সাগর প্রধান। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের প্রথমে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর তার বিরোধীতা করেন শোখন ও সাগর প্রধান। এদের সঙ্গে যোগ দেন সানোয়ার হোসেন ও আহাম্মদ আলী সহ বেশকজন। ইতিমধ্যে সানোয়ার হোসেনকে ম্যানেজ করেছেন খোরশেদ। এর আগে তারা সভাপতি ও সেক্রেটারিকে বিরোধ মেটানোর জন্য এক সপ্তাহের আল্টিমেটামও দেন। কিন্তু সেই আল্টিমেটাম সাত মাসেও আমলে নেননি খোরশেদ। এবার যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যুবদলের দুটি গ্রুপই পৃথকভাবে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যেখানে দুটি গ্রুপের পক্ষে বিপক্ষে রয়েছেন তৈমূর আলম ও সাখাওয়াত হোসেন খান। এখন দেখার বিষয় ওইদিনের অনুষ্ঠানে কার বলয়ে নেতাকর্মী সমাগম বেশি।