সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেছেন, আমরা আইনজীবীদের লিডার নই, আমরা আইনজীবীদের সার্ভেন্ট। আমরা আইনজীবীদের সেবক হিসেবে সেবার মনোভাব নিয়ে সেবা করতে এসেছি। নির্বাচনে আইনজীবীরা আমাদের দাড় করায়নি। আমরা আইনজীবীদের কাছে ভোটের জন্য গিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের সেবা করব। আমরা সেই কাজটিই করছি।
২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের উল্টো দিকের একটি রেস্তোরায় ‘ আলোকিত আইনজীবী সংঘ’ নামে আইনজীবীদের একটি সংগঠনের ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। ওই অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে আপনারা আমাকে দুইবার সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আপনারা যদি আমাকে এই সুযোগটা না দিতেন তাহলে আমি এ জায়গায় আসতে পারতাম না। আপনাদের বিশ্বাসকে আমরা অবমূল্যায়ন করিনি। আমরা দাড়িয়ে থেকে কাজ করেছি। আপনাদের জন্য ডিজিটাল বার ভবন তৈরি হচ্ছে। ইনশাহআল্লাহ আগামী মঙ্গলবার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হবে।
তিনি দাবি করেন- বাংলাদেশের কোথাও এই ভবনের মত আইনজীবী সমিতি নাই। আমরা যে ডাইরেক্টরি করতে যাচ্ছি সেটাও কোন আইনজীবী সমিতিতে প্রথম। আইনজীবী সমিতি ও সমিতির সকল কার্যক্রম হবে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে। আমি সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেছি দুইবার। সভাপতি পদে দুইবার। মোহসীন মিয়াও জুয়েন্ট সেক্রেটারি পদে ছিলেন দুইবার। পরবর্তীতে দুইবার সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ের মধ্যে আমরা কাজগুলো করেছি।’ এসময় তিনি এলডিপিএস, বেনাভোলেন্ট ফান্ড সহ আইনজীবীদের জন্য কল্যাণকর কার্যক্রমগুলোও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা আইনজীবী সমিতির একটি টাকাও খরচ করিনি। সমিতির ফান্ডে আমরা হাত দেইনি। আমরা আইনজীবীদের ছোট করিনি, আপনাদের বিশ্বাস রাখতে পেরেছি। আপনাদের সেবা করার জন্য যে সুযোগ দিয়েছেন সেজন্য আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বাকি কাজগুলোর জন্য আপনাদের সহযোগীতা দরকার।
একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান আমাদের আরও ৫০ লাখ টাকার চেক গতকাল দিয়েছেন। চেক দিয়ে তিনি বলেছেন ৪ তলা করতে কতদিন লাগবে? আমি বলেছি আরেকটা বছর লাগবে। এমপি বললেন আগে একতলাটা শেষ করে আইনজীবীদের বসতে দাও। সবাই বাহিরে বসে আছে। কাজ করতে থাকো আমি সেলিম ওসমান আইনজীবীদের পাশে আছি। কোন সমস্যা হবে না ইনশাহআল্লাহ। আইনজীবীদের বন্ধু একেএম সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমিতির প্রতিটি ইটে সেলিম ওসমানের জড়িয়ে আছে।
একই বক্তব্য রেখে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়াও নারায়ণঞ্জের সকল আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আইনজীবীদের কাছে আমরা ঋণী।’ এসময় তিনি সংগঠনটির আইনজীবীদের সঙ্গে হাস্যরসিকতা করেন। সংগঠনের আইনজীবীদের জন্য তিনি পরবর্তীতে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেন। সকল তরুণ আইনজীবীদের সঙ্গে সেক্রেটারির বন্ধুত্বসুলপ আচরণে মুগ্ধ হন আইনজীবীগণ।
আলোচিত আইনজীবী সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম এ মনিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এবং অ্যাডভোকেট কাজী মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, অ্যাডভোকেট তাহমিদ উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট অজুফা বেগম পুতুল, অ্যাডভোকেট শামীমা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট নাদিরা আক্তার, অ্যাডভোকেট ঝুমা সরকার, অ্যাডভোকেট নাহিদ তাজরিন, অ্যাডভোকেট কাজী আবু মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আছমা আক্তার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন কাজী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারজানা ববি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা ও অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার প্রমূখ। বক্তব্যে শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে নিয়ে কেক কেটে আলোচিত আইনজীবী সংঘের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন অনুষ্ঠান পালন করা হয়।