সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
একদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের বিএনপির যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। যেখানে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ধাওয়া দিয়ে যুবদলের কর্মীকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছে পুুলিশ। অন্যদিকে মহানগর যুবদলের ব্যানারে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে র্যালীর চেষ্টা করলেও দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে খোদ যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝেই রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন। মহানগর যুবদলের নেতারা বলছেন- আঁতাত করে র্যালী করলে তো ছেড়েই দিবে। অথচ আমাদের দাঁড়াতেই দিল না পুলিশ!
জানাগেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আয়োজিত র্যালীতে লঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুবদল।
২৭ অক্টোবর সকাল দশটায় শহরের নগর ভবনের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালী বের করে জেলা যুবদল।
র্যালীতে যুবদলের লগো সহ লাল সবুজ টুপি পরিধান করে নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান দিতে থাকেন। মন্ডলপাড়া শেষে ডিআইটি এলাকায় আসলে র্যালীকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল চালিয়ে যান। মিছিলটি শহরের ২নং রের গেইট সংলগ্ন জেলা বিএনপির পুরানো কার্যালয় পর্যন্ত এসে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বক্তব্য শুরুতেই পুলিশ সমাবেশে লাঠিচার্জ করে সমাবেশটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও দৌড়াদৌড় হুরোহুরি করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। তবে ঘটনাস্থল থেকে যুবদলের এক কর্মীকে দুই পুলিশ সদস্য শার্টের কলার ধরে আটক করেন। ওই সময় সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ধমক দিয়ে যুবদল কর্মীকে ছেড়ে দিতে বলেন। তখন দুই পুলিশ সদস্য কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে যুবদল কর্মীকে ছেড়ে দেন। ওই কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার পর রহমত উল্লাহ মুসলিম একাডেমী ভাঙ্গা ভবনের ইট নিয়ে অন্যান্য যুবদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এর আগে যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকেই জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা মাঠে জড়ো হতে থাকেন। যুবদল নেতাকর্মীদের সাথে যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।
অন্যদিকে এর আঘা ঘন্টা পর একই উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে র্যালী বের করার চেষ্টা করে মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এখানে যুবদলের নেতাকর্মীদের প্রেস ক্লাবের সামনে দাড়াতেই দেয়নি পুলিশ। খোরশেদ অভিযাগ করেছেন- পুলিশ হামলা করে তার যুবদলের ১০ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন। অথচ জেলা যুবদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা শহরের জিমখানা এলাকা থেকে শোডাউন করে নিবিঘেœ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করেন।
তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এক নেতা বলেছেন, আমাদের র্যালী করার জন্য প্রেস ক্লাবের সামনে দাড়াতেই দিল না পুলিশ। অথচ জেলা যুবদল অনাহাসে মিছিল করলো। আবার কাউকে নাকি আটক করে ছেড়েও দিল। এতেই বুঝা যায় কারা কিভাবে কর্মসূচি পালন করে।