দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে লোক সমাগম দেখে মনে হচ্ছে এখানকার বাম পন্থী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী লোকজনদের চেয়েও কম। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যে পরিমান নেতাকর্মী ও লোকজনদের দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের নির্বাচনেও তাদের চেয়ে বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যায়। এই দুই প্রার্থী এখন একা হয়ে পড়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে একটি আওয়ামী পরিবারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। যে কারনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থাকছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারাও। ফলে দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান। এখানে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে এ আসনে লড়ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এখানে মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আকরাম সভা করলেও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা এসএম আকরামের গণসংযোগে যাচ্ছেন না। দুদিন মহানগর বিএনপির নেতাদের তার সঙ্গে দেখা গেলেও অনেকটা একাই হাটছেন আকরাম। এরি মধ্যে এ আসনে বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। ফলে এ আসনে ধীর গতিতে এসএম আকরাম হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মনে হচ্ছে এখানে বিএনপির কোন প্রার্থীই নাই।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। এখানে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এখানেও একই অবস্থা। এখানে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় তো দুরের কথা মধ্যম সারির নেতারাও কাসেমীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নেই। অনেকটা অপরিচিত কাসেমী হাতে গোনা কয়েকজন মাদরাসার ছাত্রদের দুদিন যাবত গণসংযোগ করছেন। তাও ধীর গতিতে। তার সঙ্গে হেফাজত ইসলামের বেশকজন নেতা যারা মুুলত একেএম শামীম ওসমানের কাছ থেকে আগেই বিভিন্ন সময় সুযোগ সুবিধা নিয়ে চলে আসছিলেন।