সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে সিডিউল ও ননসিডিউল মিলিয়ে প্রায় এক ডজনেরও বেশি মামলার আসামি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার বিএনপি নেতা গাজী এমএ মাসুদ। নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেয়াই হয়ে গেছে তার প্রতিদিনের কাজ। তবুও দলের প্রতি তার অঘাত ভালবাসার টানে রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে দাড়াননি। যার ফলশ্রুেিত তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য পদে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তিনি আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি।
জানাগেছে, আশির দশকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন গাজী এমএ মাসুদ। ১৯৮৯ সালে আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন এবং সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও ২০১৪সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনায় থাকলেও তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। তিনি আড়াইহাজার থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজী এমএ মাসুদ যিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের তৃনমূল থেকে উঠে আসা রাজপথের একজন পরীক্ষিত বিএনপির নেতা। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারি বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর নেতৃত্বে জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছেন গাজী এমএ মাসুদ। যার ফলে তার ভাগ্যে জুটেছে পুলিশি নির্যাতন হামলা ও এক ডজনেরও বেশি মামলা। তার ত্যাগের মূল্যায়ন চায় বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা। তাকে আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি পদে দেখতে চান সক্রিয় নেতাকর্মীরা।