সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পলাতক আসামিদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার করতে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে পুলিশ। ১২ নভেম্বর সকালে ফতুল্লা মডেল থানার সভাকক্ষে ওয়ারেন্ট জারিকৃত আসামীর চিহ্নিত করার সহায়তার লক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের নিয়ে মতো বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।
পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসানুজ্জামান হাসানের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে কক্তব্য রাখেন- কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.আর.কুতুবে আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলে- আতাউর রহমান মেম্বার, ইউসুফ মেম্বার, নাট্যব্যক্তিত্ব ফজলুল হক পলাশ, কাজী মোশাররফ হোসেন, ফতুল্লা পালইট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালক কমিটির অভিভাবক সদস্য তাজুল ইসলম, ফতুল্লার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী, নাট্যাভিনেতা পরিচালক বদির উদ্দিন বদু ওরফে নায়ক রাজু, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান প্রমূখ।
এসময় প্রধান অতিথি এএসপি মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ারেন্ট রয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায়। এই থানার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রেপ্তারী পরোয়ানা জি.আর সি.আর ও সাজাসহ ১২ হাজারের মতো আসামীদের সন্ধান ও ঠিকানা সঠিক পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তিন হাজারের মধ্যে তামিল হয়েছে। আপনাদের সহায়তা পেলে বাকীদেরও আমরা ঠিকানা চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, এই গ্রেপ্তারী পরোনা আসামীরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসী তা না কিন্তু এর মধ্যে অনেকে আছে ভাল মানুষ। তারা কোর্টে হাজিরা দিলেই ওয়ারেন্ট বা মামলা শেষ হবে। অনেকে আছে জানেই না যে তার বিরুদ্ধে মামলার ওয়ারেন্ট আছে।আমরা এই মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানার সীট বিল বোট ফেষ্টুন তৈরী করে রাস্তার মোটে টানিয়ে দেবো। আপনারা াপনাদের আমে পাশের লোক চিহ্নিত করে আমাদের সহায়তা করবেন।
ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের থানায় ৮ হাজারের উপরে সি আর জি আর ও সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এই ওয়ারেন্ট আমরা ধরতে বা আসামী চিহ্নিত করতে পারছি না । আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সহায়তা করুন আমরা আপনার পরিচয় গোপন রাখবো কথা দিলাম।
ফতুল্লা মডেল থানার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জিআর, সিআর ও সাজাপ্রাপ্ত নিন্মে দেয়া হলো: ফতুল্লা ইউনিয়নে সি আর ৮৭১টি, জি আর ১১১৬টি,সাজা প্রাপÍ ২৫৮ মোট ২২৪৫টি।
কুতুবপুর ইউনিয়নে সিআর ৭৪৮টি, জিআর ১২০৭টি, সাজাপ্রাপ্ত ২৪০টি, মোট ২১৯৫টি। এনায়েতনগর ইউনিয়নে সিআর ৭৬২টি, জিআর ৬২৩টি, সাজাপ্রাপ্ত ২৫৫টি মোট ১৬৪০টি। কাশিপুর ইউনিয়নে সিআর ৫৪১টি, জিআর ৭৭২টি সাজাপ্রাপ্ত ১৬২টি মোট ১৪৭৫টি। বক্তাবলী ইউনিয়নে সিআর ২২৩টি, জিআর ৪০৭টি, সাজাপ্রাপ্ত ৩৫টি মোট ৬৬৫টি। মিসিং সিআর ৯০১টি, জিআর ১১১৬টি এবং সাজাপ্রাপ্ত ৯৫০টি মোট ২৯৬৭টি।