আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিয়ে তিনি এখন নারায়ণগঞ্জের মহাজোটের দুটি আসনের প্রার্থীদের জয়ী করতে কাজ করছেন। এমন সুযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে খালি মাঠও উত্তাপ ছড়াতে পারছেন না ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। বিএনপির কোন স্তরের নেতাকর্মীদেরই তিনি পাশে পাচ্ছেন না। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাসায় দৌড়ালেও খালি চষে বেড়াতেও পারছেন না চমক দেখানো এমন প্রার্থী।
জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এখন তার নিজ আসন ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের আরেক প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার জন্য কাজ করছেন। দুটি আসনে ইতিমধ্যে তিনি দুটি বিশাল সমাবেশও করেছেন।
জানাগেছে, এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মুহাম্মদ শাহ আলম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের মত নেতাদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের অপরিচিত মুখ মুফতি মনির হোসানই কাশেমীকে। তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে ছিল বিশাল চমক। আবার তার মনোনয়নে এ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীরা চরম হতাশ। রীতিমত তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা হয়েছে। শামীম ওসমানের দাবি করছেন তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে তিনি নিজেই চিনেন না। তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে শামীম ওসমান নির্বাচনী পরিকল্পানায় ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম অথবা গিয়াসউদ্দীন।