সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের বিবাদমান বিরোধ নিষ্পত্তি করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। সোনারগাঁয়ের এই কৃতি সন্তান এবার সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের দুই নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপক প্রসংশা পেয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নেতাকর্মীদের মুখে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েলের নাম প্রাশয়ই শোনা যায়।
জানাগেছে, সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় গত ৬ অক্টোবর একটি পূজামন্ডপের অনুষ্ঠানের যাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি মামলার পর আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে এই দ্বন্ধের অবসান ঘটেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া ও সোনারগাঁ উপজেলার আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার হস্তক্ষেপে আপোষের মাধ্যমে ১৮ নভেম্বর সোমবার তারা আদালতে মামলা তুলে নেয়। এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের গাবতলী পূজামন্ডপে লক্ষীপূজার অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়াকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে তারা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে পাকুন্ডা এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। পরে এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির ভূঁইয়ার জামাতা আশিকুর রহমান রানা ও ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর পক্ষে লিটন চৌধুরী বাদি হয়ে দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ওই বিরোধীয় দুই গ্রুপের দ্বন্ধ নিরসনের উদ্যোগ নেন। সোমবার দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে সর্বশেষ আপোষ মীমাংসা করে দেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল।