সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা বিএনপি। এমন সংবাদে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে আসতে নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতারাও মাঠে নেমেছেন। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী সহ জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতারা। যেখানে সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি প্রায় একডজন নেতা। যাদের মধ্যে দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে সক্রিয় রাজনীতিতে ভুমিকা রাখায় মীরজুুল হাসান নয়ন মোল্লাকেই এগিয়ে রাখছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার শীর্ষ নেতারা। যাদের অধিকাংশ নেতাদের দাবি- আড়াইহাজার বিএনপির কমিটিতে সভাপতি পদে মাহমুদুর রহমান সুমনের সঙ্গে সেক্রেটারি পদে মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লাই পারফেক্ট। তবে হাল ছাড়ছেন না অন্যান্য নেতারাও।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে, আড়াইহাজারে বিএনপির অতীতে নেতৃত্বে সভাপতি পদে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু। খসরুর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান তারই ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। এদিকে হাবিবুর রহমান হাবু অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তবে অনেক আগেই তিনি এ পদটি হারিয়েছেন। ২০১২ সালে জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হাবুকে অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবুল কাশেম ফকিরকে দেয়া হয়। হাবুকে নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। রাজনীতিতেও নেই আগের মত। যে কারনে একজন ক্লিন ইমেজের সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা একজন সেক্রেটারি পদে নেতৃত্ব হিসেবে মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লার দিকে স্থানীয় কর্মীদের সমর্থন রয়েছে। নয়ন মোল্লাকে নিয়ে তেমন কোন বিতর্ক নেই।
তবে সেক্রেটারি পদে মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা, আনোয়ার হোসেন অনু, আবুল কাশেম ফকির, অ্যাডভোকেট আজিজুল হান্টু, সালাউদ্দীন মোল্লা, সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, জুয়েল আহমেদ, গাজী এমএ মাসুদ ও মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া সহ আরও বেশকজন। যাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি নেতা হিসেবে দাবি করছেন। আনোয়ার হোসেন অনু নিজেকে সভাপতি ও আজিজুুল হক হান্টুকে সেক্রেটারি পদে রেখে একটি প্রস্তাবিক কমিটিও জেলা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছেন।
এসব নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতাদের বিষয়ে নাম প্রকাশ না শর্তে এক ছাত্রদল নেতা বলেন, ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নয়ন মোল্লা। নয়ন মোল্লা আড়াইহাজারের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমুল নেতাকর্মীদের কাছেও একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। আমরা মনে করি তাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলে খুব ভাল করতে পারবেন।
যুবদলের এক নেতা বলেন, ত্রি-ধারায় বিভক্ত আড়াইহাজার বিএনপিকে এক সূতায় বাঁধতে নয়ন মোল্লার কোনো বিকল্প নেই। থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও সবকিছু ছাপিয়ে নানা কারণে হঠ্যাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেন নয়ন মোল্লা।
উচিৎপুরা ইউনিয়ন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, নয়ন মোল্লার মতো লোককে আড়াইহাজারের দায়িত্ব দেওয়া হলে উপজেলায় বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লা শিক্ষিত, সাহসী ও সাংগঠনিক ব্যক্তি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সর্বদা সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। তার হাতে বিএনপির দায়িত্ব দেয়াটা এখন সময়ের দাবী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে অনেকে গা বাঁচিয়ে চলেছেন। উপজেলায় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা দলের দুর্দিনে চোরাবালির ওপর নেতাকর্মীদের ফেলে চলে গেছেন। সেই সময় নয়ন মোল্লা নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তাকে দলের দায়িত্ব দেয়া হলে নেতাকর্মীরা উৎসাহের মধ্যে দিয়ে দলের জন্য কাজ করবেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরজুুল হাসান নয়ন মোল্লা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি। তারা অবশ্যই আড়াইহাজার বিএনপির কমিটি গঠনে তাদের বিচক্ষণতার পরিচয় দিবেন। আমি বিশ্বাস করি তারা অবশ্যই আমার ত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন করবেন।
তিনি আরোও বলেন, আজকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করাই হল আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা আড়াইহাজার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের সঙ্গে সমন্বয় করে দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে আমি ঈমানের সহিত দায়িত্ব পালন করব। উপজেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বো।