আজাদকে নিয়ে নামলেন সুমন, দিলেন পরামর্শ

আবদুল্লাহ অল মামুন, বিশেষ প্র্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদকে নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামলেন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। একই সঙ্গে তিনি এ আসনে বিএনপির প্রার্থীকে জয়ী করতে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। বিএনপির প্রার্থী নজরুর ইসলাম আজাদকে তার নির্বাচনী কৌশলী কিছু পরামর্শও দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। বক্তব্য শেষে নেতাকর্মীদের কাছে আজাদের হাত উচিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজাদকে পরামর্শ দিয়ে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, নির্বাচনের তিন ভাগের দুই ভাগ সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজ কিন্তু অনেক বাকি আছে। সবগুলো ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি করতে হবে। ১০টি ইউনিয়নের সবগুলোতে যেতে হবে। সবগুলো সেন্টারে সেন্টার কমিটি করতে হবে। তবে কমিটিগুলো অবশ্যই বিশ্বস্থ লোক দিয়ে করতে হবে যাতে ঠিকমত কাজ করে। আবার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তার জন্য মনিটরিং কমিটি করতে হবে।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, একটি নির্বাচন বিবাহের বরযাত্রা নয়। একটি নির্বাচন কর্মযজ্ঞ, মহাকর্মযজ্ঞ। নির্বাচন অনেক কঠিন যা শক্ত হাতে তা পরিচালনা করতে হয়।’

১৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে আনুুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেন মাহমুদুর রহমান সুমন। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আড়াইহাজারের ইলমদি এলাকার বাসভবনে (নারায়ণগঞ্জ-২) জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন জনসভার প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান সুমন। মাহমুদুর রহমান সুমন আড়াইহাজারের ইলমদী এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমবেত হন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এ আসনে প্রাথমিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনিও।

এছাড়াও প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান সুমন বলেন, ধানের শীষ এবং বিএনপির জনপ্রিয়তার উপর ভর না করে নিজেকে গণসংযোগ করে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দেন এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তিকে না দেখে ৩০শে ডিসেম্বর ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান রাখেন। এর আগে মরহুম এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পালন করেন নেতাকর্মীরা।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাশেম ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মাহমুদুর রহমান সুমন আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশটাকে আমাদের উপহার দিয়েছেন তাদের রক্তের বিনিময়ে। আমি সেই বীর সেনাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমি বিশেষ করে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযুদ্ধা, বীর সেনা, স্বাধীনতাকামী, সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাকারী, উন্নয়নের রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে।


কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক এই নেতা নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ নির্বাচনে হয়তো আমরা আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ফিরে পাব। আমাদের শান্তিত প্রতিষ্ঠা করতে পারব। ঘরে ঘরে চাকুরি দেব। তবে অতীতের মত নয়। গত দশ বছরে কিছু না কিছু পেয়েছেন তা হলো যেমন মামলা খেয়েছেন। তবে আমরা এগুলো আপনাদের দিব না। আমরা শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশকে শান্তির রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকবে। দুর্নীতি বন্ধ হবে। আমরা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। তাই আমাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। আর এ প্রতিটা ভোট হবে গণতন্ত্রের মা, দেশমাতা, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দলিলে স্বাক্ষর ও রায় ঘোষণা।

তারেক রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আমাদের বিএনপির সুপ্রীম কমান্ডার। আমরা তার নির্দেশে সঠিকভাবে কাজ করে বিএনপিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের জয় হবে ইনশাহআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা জামায়তে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন ভূইয়া, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিক ভুইয়া, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল্লাহ, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জাকির হোসেন ভূইয়া, লিটন মিয়া, ছাত্রদল নেতা এরশাদ আলী, মাহমুদুর রহমান তুষার, শ্রমিকদল নেতা শানু, আবুল কালাম ও মকবুল হোসেন প্রমুখ।