সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মীর হোসেন মীরুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে আসলে মীরুর পক্ষ নিয়ে ওই বাদীকে থানার ভেতরে মারধর করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামানের কক্ষে নিয়ে গারদে ভরে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন মীর সোহেল আলী। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন মীর সোহেল আলীর সহযোগী শাহিন। এর আগে ওই পুুলিশ পরিদর্শককে ক্লোডজ করা হয়েছে। কারন পুুলিশ পরিদর্শকও মীর সোহেল আলীর পক্ষ নিয়েছিলেন।
১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলেমের আদালত আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে, ১৭ নভেম্বর গত রবিবার দুপুরে মারধরের শিকার ব্যবসায়ী সেলিম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মীর সোহেল ও তার সহযোগী শাহীন মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুরের সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুর সন্ত্রাসী বাহিনী কুতুবপুর ইউনিয়নের বউবাজার এলাকায় মুরাদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মুরাদ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন এবং পরদিন শুক্রবার রাতে তাদেরকে থানায় যেতে বলেন।
পুলিশ থানায় আসতে বলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী সেলিম থানা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করার সময় মীর হোসেন আলী ও শাহীন সহ আরও বেশ কয়েকজনের সাথে দেখা হয়। মীর সোহেল আলী ও তার লোকজন সেলিমকে থানার ভেতরে দেখেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং শার্টের কলার চেপে ধরে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে মারতে মারতে থানা থেকে রাস্তায় নিয়ে আসে। আবার সেখান থেকে টেনে হেঁচড়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান রুমে নিয়ে যায়, থানার লকাবে ঢুকিয়ে দেয়ার কথা বলেন মীর সোহেল আলী। এ সময় ওসি তদন্ত হাসানের রুমে নেওয়ার পর তিনি আমাকে উল্টো ধমকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন থানায় আপনার কাজ কী? কেন এসেছেন? এভাবে পরিদর্শক তদন্ত মীর সোহেল আলীর পক্ষ নিয়ে সেলিমকে শাসান।