সিপাহী বিপ্লবের মত খালেদা জিয়াকেও মুক্ত করবে জনগণ: সাগর প্রধান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান বলেছেন, এখন এদেশটা যেনো একটা মগের মল্লুকে পরিনত হয়েছে। পেয়াজের দাম তিনশো টাকা কেজি, দেশে কোন আদালত নাই, এদেশে কোন বিচার নাই, প্রধান বিচারপতি যেখানে বিচার পায়না, প্রধান বিচারপতিকে যে দেশ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়, সেই দেশে বিচার কার কাছে চাইবো? বিচারও চাইনা, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিও চাইনা। এদেশের জনগণ আওয়ামীলীগের দ্বারা নির্যাতিত হতে হতে আজকে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কারো কাছে মুক্তির চাওয়ার কোন কারন নাই। এদেশে সিপাহী বিপ্লব যেভাবে মেজর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক বানিয়েছিল তেমনি করে বাংলার জনগণ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে। কারো কাছে কোন বিচার চেয়ে লাভ নেই, মুক্তি চেয়ে লাভ নেই।

২০ নভেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েতনগর এলাকায় মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ারের আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাগর প্রধান এসব কথা বলেন।

যুবদলের তুখোর এই নেতা সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্ধি করে রেখেছেন। আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, আপনারা ৪০ বছর পর আপনাদের ইচ্ছামত যার নামে খুশি তার নামে মামলা দিয়ে, আপনাদের সাজানো নাটক দিয়ে তাদেরকে ফাঁসি দেন, তাদেরকে বিচার করেন, ইন্নাশাহআল্লাহ আপনাদের বিরুদ্ধে একদিন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হবে। যেদিন আপনাদের বিরুদ্ধে বিচার হবে, সেদিন জাতি আপনাদের দিকেও তাকিয়ে থাকবে, যে যেমন কর্ম করে তার তেমন ফল হয়।

সাগর প্রধান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে অবদান, তিনি এদেশে রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। যখন বাংলাদেশের মধ্যে জাতি হামলার শিকার হয় তখন পাকিস্তানী হায়েনারদের বিরুদ্ধে প্রথম যেই বুলেটটি ছেড়েছিলেন সেই বুলেটটি ছেড়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। প্রথম যে প্রতিবাদ সেইদিন জিয়াউর রহমান করেছিলেন। বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান কোন সাধারণ নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের নেতা। ইরাক ইরানের যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন তিনি। যা তখন বিশ্বব্যাপী কোন নেতা পারেননি। জাতিসংঘ বন্ধ করতে পারেনি। জিয়াউর রহমান সার্কের মত সংস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। আজকে অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।

বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে সাগর প্রধান ছড়ায় ছড়ায় বলেন, তুমি আছো মনে, ইতিহাস হয়ে আছো তুমি বিশ^বাসীর অন্তরে, তুমি বাংলার দুঃখী দরিদ্র মানুষের দুর্দশা দূর করার লক্ষ্যে, নেমেছিলে মাঠে করেছিল কৃষিকাজ, হাতে ধরেছিলে কোদাল, করেছিলে খাল খনন, বাংলার মুক্ত বাতাসে উড়িয়েছিলে পাখি, গাইতো সোনার বাংলার গান, তুমি সার্কের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

এ বিষয়ে তিনি তারেক রহমানকে নিয়ে বলেন, যেমন বাপ তেমনি তার সন্তান তারেক রহমান। আজকে তারেক রহমানের জন্মদিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জানাই ধন্যবাদ।

তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান মেজর জিয়াউর রহমানের সন্তান। তিনি এদেশের নাগরিক। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। তাকে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের বাহিরে রাখা হয়েছে। এদেশের জনগণ এটা সহ্য করবে না। প্রশাসনের উপর ভর করে সরকার বেশি দিন টিকতে পারবে না। প্রশাসন চিরদিন কারো আপন থাকে না। আর এক সরকারও শেষ সরকার নয়। এই সরকার বাংলাদেশের শেষ সরকার নয়। এই সরকারের বিদায় হবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। এদেশে যদি তারেক রহমানকে রাজনীতি করতে না দেয়া হয় তাহলে এদেশে তাদেরও চিরদিনের জন্য রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।

আলোচনা সভা শেষে তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মুছা, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবু ও বাস্তাহারা দলের কেন্দ্রীয় নেতা অপু রহমান প্রমূখ।