সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
এক সময় ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতিতে কিছুটা সক্রিয়ও ছিলেন রোমান। বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা না দেখায় আওয়ামীলীগে যোগদান করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই রোমানকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ- মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবুকে ম্যানেজ করে ছাত্রদলের সহ-সভাপতির পদটি ভাগিয়ে নিয়েছেন রোমান।
স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের গলায় ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করে রোমান। স্থানীয় বিএনপি নেতা রওশন আলী চেয়ারম্যানের সঙ্গে রোমানও আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। কিন্তু সেই রোমানকেই মহানগর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে। মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে গত ইফতার মাহফিলে রোমানকে দেখা যায় সামনের সারিতেই। এ নিয়ে মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও অভিযোগ- মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশা ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ, সেক্রেটারি মমিনুর রহমান বাবুর সঙ্গে রোমানকে দেখা যায়। তারা এমন রোমানকে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। আওয়ামীলীগ নেতার গলায় ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করলেও সেই রোমানকে কেন মহানগর মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে সেটা নিয়েও নেতাকর্মীদের মাঝে সন্দেহের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এমন বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ বলেন, রোমান সহ বেশকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠেছিল। আমরা সেসব বিষয়ে তাদেরকে শোকজ করেছিলাম এবং তাদের পদ স্থগিত রেখেছিলাম। পরবর্তীতে সন্তোষজনকভাবে রোমান শোকজের জবাব দিয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানের সময় রোমান উপস্থিত ছিলেন, এর বেশি কিছু নয়। রোমান ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয় ভুমিকা রাখছেন। বর্তমানে তিনি মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন এবং তিনি নিয়মিত দলের কর্মসূচি পালন করছেন।