সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ লাখ ২৬ হাজার ৫শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মাদক ব্যবসায়ী সেলিম ও মহিউদ্দীনকে ১৪ বছর করে এবং বাকি তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
একই সঙ্গে সেলিম ও মহিউদ্দীনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর তিনজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা যা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ আদেশ দেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারাদ-প্রাপ্ত সেলিম চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আবু তাহেরের ছেলে ও মহিউদ্দীন কুমিল্লা জেলার লাঙ্গল কোর্ট থানার মোঃ সিরাজ মিয়া ছেলে। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার মোঃ ইলিয়াসের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মৃত আজর আলীর ছেলে আবদুল মান্নান ও রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার নওশাদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ২০১৫ সালের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২ আসামি মোঃ সেলিম ও মহিউদ্দিনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, একইসঙ্গে তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই মামলায় পলাতক তিন আসামি গিয়াস উদ্দিন, আবদুল মান্নান ও জাহাঙ্গীর আলমকে ১০ বছরের কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার আরেক আসামি মঞ্জুর হোসেন জামিনে যাওয়ার পর চট্টগ্রামে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট গোপন সংবাদে ভিত্তিতে র্যাব -২ এর পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল এলাকার রহমান কোল্ডস্টোরেজ ও মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে একটি নোয়া প্রাইভেটকার থেকে আসামিদের আটক করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশী করে আসামি সেলিম ও মহিউদ্দিনের কাছ ৫ লাখ পিস এবং অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুর হোসেনের কাজ থেকে ২০ হাজার ৫’শ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে র্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।