দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
২১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে জনসভায় বিকেলে ৩টায় যোগদানের কথা থাকলেও তিনি আসতে পেরেছেন বিকেলে সোয়া ৪টায়। কারন তিনি আসার পথেই বন্দরের মদনগঞ্জ সড়কে বাঁশের বেরিগেট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দূর্বত্তরা। পরে জেলা পুুলিশ সুপার হারুন উর রশিদ গিয়ে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ প্রহরায় মির্জা ফখরুর ইসলামকে নিয়ে সমাবেশে ভিন্ন পথে যোগদান করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও ওই জনসভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী ও নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সেক্রেটারী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী এটিএম কামাল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি গ্রামে মানুষ জেগে উঠছে, যত মানুষ জেগে উঠছে, ততই নির্যাতনের মাত্রা বাড়াচ্ছে। মানুষ কখন নির্যাতন করে? যখন মানুষ একা হয়ে যায়। তাদের যে উন্নয়নের কথা বলছেন? সেটা দেশের উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই তা সরকার দলীয় নেতাদের পকেটের। দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি সব কিছুরই দাম বেড়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অথচ, লাখ টাকা দিয়েও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে হা চাকুরী হচ্ছে। তার জন্য চাকুরীর আবেদনকারীদের ডিএনএ পরীক্ষা করে নেয়া হচ্ছে তাদের রক্তে আওয়ামীলীগ আছে কিনা।
এর আগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় বন্দরের নবাব সিরাজদ্দৌল্লা ক্লাবের মাঠে। ওই ক্লাবের সভাপতি বিএনপির নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সুুলতান আহমেদ ভুইয়া মাঠে মঞ্চ তৈরি করতে বাধা দেন। এবং সেখানে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হলে ঠ্যাং ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। তিনি নাশকতার বেশকটি মামলার আসামী। বর্তমানে সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএস সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে এসএম আকরাম অভিযোগ করে বলেন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের মাঠে প্যান্ডেল তৈরির সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ক্লাবের কর্মকর্তা নেয়ামত উল্লাহ হঠাৎ করে বলেন সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করা হবে তারা সেখানে প্র্যাকটিস করবেন। আমার জানা মতে, সেই মাঠের নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই। এটি হয়তো কোন খাস জমি, কিংবা দানসূত্রে জায়গার উপর অবস্থিত। আমি থানায় বলেছি, এটা আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণাও নয়, শুধুমাত্র একটি সভা।
‘সেখানে আমি বাদেও ঐক্যফ্রন্টের আর চারপ্রার্থীও থাকবেন। কিন্তু এতো বাধা কেন দেয়া হচ্ছে সেটি বোধগম্য না। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ বলেছে, বিএনপির কোন নেতাকর্মী সে সভায় গেলে ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে। আসল কথা হলো এসব করার মানে তোমাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে দেয়া হবে।’
কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই জানিয়ে এসএম আকরাম বলেন, ‘আমার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে প্রচারণায় নামতে পারছেনা। তারপরেও প্রচারণায় অনেক লোক হচ্ছে। মহাসচিব একজন। তাকে নিয়ে এসে একটি সভা করতে চাচ্ছিলাম। সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি।’