দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, আমরা সন্ত্রাসী দল করি না। তাই আমরা ভোট চুরির চিন্তাও করিনা। আমরা জনগণের রায়ে বিশ্বাসী। যারা ভোট চুরি, ভোট বাক্স ডাকাতি, কেন্দ্র দখলের চিন্তা করে তাদের পক্ষে জনগণ নেই। তারা জনগণের রায়কে মানতে চায়না। ক্ষমতা দেখিয়ে জোর জুলুম অন্যায় অত্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের চায়না। কিন্তু জনগণের অধিকার ভোট প্রদান করা। সেই ভোট চুরির চেষ্টা করা হলে জনগণ রুখে দাড়াবে। আমাদের উপর শত নির্যাতনেও আমরা দমে যাইনি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।
২১ ডিসেম্বর বিকেলে সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নে গণসংযোগকালে দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকমকে এসব কথা বলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ওই সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ সঙ্গে ছিলেন।
মান্নান বলেন, আজ আমি শুধু নোয়াগাও ইউনিয়নে গণসংযোগ করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াগাও ইউনিয়নে জনগণের মাঝে থাকব।
জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার অনুগামী আয়নাল মেম্বার ধানের শীষ প্রতীকে প্রচারনায় কিছুটা বাধা দিয়েছেন অভিযোগ করে মান্নান বলেন, আমি নোয়াগাও ইউনিয়নের মাঝে কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে আনোয়ার মেম্বার নামে একজন সামান্য বাধার দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া আমি কোন বাধার মুখে পড়িনি। আমরা সন্ত্রাসীদল না। আমরা সন্ত্রাসী করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণ যদি নিরাপদে আমাদের ভোট দিতে পারে তাহলে আমরা জয়ী হব। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ। আমরা সীল মারা, কেন্দ্র দখল, ভোট চুরিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিপ্রিয় দল করি। আমরা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি সোনারগায়ে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাদের গণসংযোগকে নোয়াগাওবাসী বিপুল সাড়া দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রতিদিন রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা ৩০ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত মাঠে থাকব ইনশাহআল্লাহ।
এখানে উল্লেখ্যযে, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করছেন।