দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
দমে যায়নি আড়াইহাজারের ইকবাল পারভেজ। নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন না পেলেও তার ভালবাসার টানে ইকবাল পারভেজের বাসায় শোডাউন করে যোগদান করলেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েকটি বছর ধরে নিয়মিত হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারের মাঠ চষে বেড়িয়েছিলেন ইকবাল পারভেজ। সেইসব নেতাকর্মীরা ইকবাল পারভেজের বাসায় এসে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। স্তব্ধ বিমর্ষ নেতাকর্মীদের শান্তনাও দিলেন ইকবাল পারভেজ। নেতাকর্মীদের শান্তনা দিয়ে বলেছেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। তোমরা নৌকার পক্ষে কাজ করো। নৌকার বিজয় শেখ হাসিনার বিজয়।
জানাগেছে, ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের বাড়ৈপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে আসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল পারভেজ। ওই সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শোডাউন করে তার বাসায় উপস্থিত হন। আসেন স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনেকটা বিমর্ষ ছিলেন ইকবাল পারভেজও। কারন এর আগেই নেতাকর্মীদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কয়েকটি বছর ধরে ইকবাল পারভেজকে নিয়ে আড়াইহাজারের মানুষের ঘরে ঘরে নৌকার জন্য ভোট চাইতে গিয়েছিলেন এসব নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষতক মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুই।
নেতাকর্মীদের ইকবাল পারভেজ বলেন, যেখানে নৌকা সেখানেই শেখ হাসিনা। আমরা শেখ হাসিনাকে চিনি। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করব। তোমরা নৌকার পক্ষে ঝাপিয়ে পড়ো। নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করো। এটাই বিশ্ব মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমি আড়াইহাজাবাসীর পাশে ছিলাম এবং থাকবো।’ ওই সময় অনেক নেতাকর্মী কথা বলতে গিয়েও স্তব্ধ হয়ে যান। তখন নেতাকর্মীদের শান্তনা দেন ইকবাল পারভেজ।
জানাগেছে, ইকবাল পারভেজকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছিলেন সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদু রহমান হেলো সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা রূপ মিয়া মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল সরকার সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল -এ আসনে পরিবর্তনের শ্লোগান।