সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দীনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিবের সঙ্গে আরো বাহিরের কেউ রয়েছে বলে দাবি করে দেলোয়ার হোসেন প্রধান বলেন, সচিব একা না ঘরে ও বাহিরের খেলা চলছে। সাবধান।
৬ জানুয়ারি সোমবার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে পরিদর্শনে যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। ওই সময় সকলের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের কার্যালয়ে গিয়ে তার সাথেও আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছেন। কোন চেয়ারম্যানকে দুর্নীতি ও অনিয়ম গ্রাস করতে পারেনি। সম্প্রতি বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ। তাকে নিয়ে একজন সচিব যে ছক আটছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। মামলা হয়েছে সঠিক তথ্য প্রমানিত হবে। তখন প্রমানিত হবে এহসান উদ্দিন আহম্মেদ চেয়ারম্যান কি দুর্নীতিবাজ নাকি উন্নয়নের নায়ক।
দেলোয়ার প্রধান আরও বলেন, বংশগতভাবে পরিচিত, শিক্ষিত, মার্জিত ও প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী এহসান উদ্দীন। তাকে নিয়ে সচিব যে খেলা খেলছে তা একার না। এখানে ঘরে ও বাহিরের একাধিক চক্র জড়িত। সকল কিছু বের হবে এবং এর জবাব দেয়া হবে বলেও কঠোর ভাষায় বলেন চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান।
উল্লেখ্য যে, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব ইউসুফের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এহসান চেয়ারম্যানের সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। দুর্নীতিবাজ সাবেক সচিব ইউসুফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী বন্দরবাসীর। সরলতার সুযোগে আর কোন চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধিদের এমন বেহাল ও সম্মানহানীকর পরিস্থিতে পরতে না হয়। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমগুলোতে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয় সেই সংবাদে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি মো. ইউসুফের একটি মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া বক্তব্য ছাপা হয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে। এমনটাই দাবি করা হয়।