সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে আসা জুয়েল মোহসীন জুটি একটি ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকলেন বিভিন্ন কারনে। অনেক প্রতিকুল পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর নেতৃত্ব দিয়েছেন টানা দুই মেয়াদে। বিগত সময়ের অনেক নেতৃত্বে থাকা নেতাদের চেয়ে আইনজীবীদের জন্য উল্ল্যেখযোগ্য বেশকিছু কাজ করেছেন সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। প্রথমত নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের কল্যাণে সবচেয়ে বড় কাজটি করেছেন ডিজিটাল বার ভবন তৈরি করে।
আইনজীবীরা আরও বলছেন- সমিতির নেতৃত্বে থাকা অতীতে অনেক রথি মহারথি নেতারাও এত্ত বড় কাজ হাতে নেয়ার সাহস করতে পারেননি। এই কাজটি করতে গেলে তাদেরকে পিছন দিক থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও থমকে যাননি এক চুল পরিমানও। রাজনৈতিক মারপ্যান কটূচাল কুটকৌশল না জানলেও এই দুজন আইনজীবীদের কল্যাণে উন্নয়ন করাটা শিখেছেন ভালমতই। যার দূরণ এবার আইনজীবীদের স্বপ্ন বর্তমান সেক্রেটারি মোহসীন মিয়া। তারা আইনজীবীদের লিডার হতে না পারলেও সেবক হিসেবে ব্যাপক কাজ করেছেন। যা মনে রাখার মতই।
জুয়েল মোহসীন নিজেরাও বেশকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাবি করেছেন- ‘আমরা আইনজীবীদের লিডার হতে আসিনি, আমরা আইনজীবীদের সেবক। আইনজীবীদের সেবার মানসিকতা নিয়েই নির্বাচনে ভোটের জন্য আইনজীবীদের কাছে গিয়েছিলাম।’
নারায়ণগঞ্জের তরুণ আইনজীবীদের কাছে শুরুতেই বেশ জনপ্রিয় জুয়েল মোহসীন জুটি। এক বাক্যে অনেকটা সহজ শব্দে জুয়েল মোহসীন নামটি আইনজীবীদের মুখে চলে আসে। তবে তাদের এমন নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি অনেক সিনিয়র আইনজীবীরা। নারায়ণগঞ্জের মত আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে তরুণ দুই আইনজীবী নেতা- এমন বিষয়টি অনেক সিনিয়র আইনজীবী নেতার কাছে গাত্রদাহের বিষয় হয়ে ওঠে। তবে ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের পর সিনিয়রদের সুদৃষ্টিতে চলে আসেন জুয়েল মোহসীন। যে কারনে ৯ জানুয়ারি বার্ষিক সাধারণ সভায় যেসব আইনজীবীরা বক্তব্য রেখেছেন তারা সকলেই তাদের বক্তব্যে উন্নয়ন নিয়ে কোন দ্বিমত পোষণ করেননি। মুলত যেসব নেতারা তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ তারাও বলেছেন- সমিতির উন্নয়ন কাজে তারা প্রশংসার দাবি রাখেন।
টানা দুই মেয়াদে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া দায়িত্ব পালন করেছেন। সমিতির গঠনতন্ত্রে টানা দুই মেয়াদের বেশি কেউ নেতৃত্ব দিতে পারবেন না এমন নিয়ম থাকায় এবার পূণরায় সভাপতি পদে নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই জুয়েলের হাতে। তবে আইনজীবীদের ব্যাপক চাহিদা ছিল তার দিকে। একইভাবে সেক্রেটারি তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনের সুযোগ নেই মোহসীন মিয়ারও। ফলে এবার মোহসীন মিয়াকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। এখনও নির্বাচনের কোন আনুুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি মোহসীন মিয়া। তবে সভাপতি পদে তার দিকেই আইনজীবীদের দৃষ্টি। কারন সমিতির উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে এবার মোহসীন মিয়াকেই প্রয়োজন বলে দাবি করছেন আইনজীবীরা।
ভবিষৎে জুয়েল মোহসীনকে একই সঙ্গে নির্বাচনে কিংবা নেতৃত্বে দেখা যাবেনা। কারন তারা দুজনকেই সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। ফলে ভবিষৎে এমন একটি আলোচিত জুটিকে হয়তো আর একসঙ্গে পাবেন না আইনজীবী সমাজ। তবে আইনজীবীরা দেখছেন আবারো ঠিক সময়ে আইনজীবীদের কল্যাণে বারের নেতৃত্বে ফিরে আসবেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। এই জুটি ইতিমধ্যে আদালতপাড়ায় ডায়নামিক আইনজীবী লিডার হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন আইনজীবীদের মাঝে। বর্তমান সময়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন জুয়েলের পদাঙ্কুসরণ করে এগিয়ে যাবে মোহসীন মিয়া। এমনটাই দাবি আইনজীবীদের।