সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। তিনি এমপি হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন যা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে। সেলিম ওসমানের শিক্ষাখাতে এমন ভুমিকা দেশে কোন ব্যক্তির বিরল। তাই তাকে একুশে পদক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেয়া উচিত বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান জয়েন্ট সেক্রেটারি ও আসন্ন নির্বাচনে সেক্রেটারি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান।
এক সাক্ষাৎকারে নম্র ভদ্র এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমাজ এমপি সেলিম ওসমান ও এমপি একেএম শামীম ওসমান সহ সকল জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যেখানে এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি আইনজীবী সমাজ বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের জন্যে তার অবদান কোনদিন ভুলবার নয়। তাছাড়া তার মতো দানবীর একজন সংসদ সদস্য সারা বাংলাদেশে আরেকজন আছে এমন কাউকে দেখিনা। তিনি যেভাবে স্কুল কলেজ তৈরীর জন্য অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন তাতে করে এই দানবীর এমপির রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়া উচিত। একেএম সেলিম ওসমানকে একুশে পদকে ভূষিত করা প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের প্রতি এমপি সেলিম ওসমানের সমর্থণ রয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরাও এই প্যানেলের সকল প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে মতামত প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।
সাধারণভাবে চলাফেরা করা এই আইনজীবী মাহবুবুর আরো বলেন, নেতৃত্ব হচ্ছে খোদার সেরা দান। তিনি যাকে ভালোবাসেন তাকে নেতৃত্বের সুযোগ দেন। আমি এই বারে একবার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও টানা দুইবার যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছি। এ জন্য আমি পরম করুণাময়ের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া প্রকাশ করছি। এরপরে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবনের রূপকার হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও তরুণ প্রজন্মের অহংকার মোহসীন মিয়াসহ নারায়ণগঞ্জের সকল আইনজীবী সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞ। নারায়ণগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের স্বার্থে যে অবদান বারবার রেখে চলেছেন তা আইনজীবী সমাজ কোনদিন ভুলবে না।
মাহবুব তরুণ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যখন তরুণ ছিলাম তখন শিক্ষার পিছনে ঘুরেছি। প্রথম পাঁচ বছর শুধু শিখেছি আর সিনিয়রের সব কাজ করে দিয়েছি। সিভিল মামলা লিখতে লিখতে হাতে দাগ পরে গিয়েছিলো। তাই সবার আগে শিখতে হবে এবং বড়দের সম্মান করতে হবে। তাহলেই একদিন সাফল্যের চূড়ায় পৌছানো যাবে।
আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হলে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দিবেন নির্মাণাধীন ডিজিটাল বার ভবনের নির্মাণ কাজের দিকে। যত দ্রুত সম্ভব নির্মাণ কাজ শেষ করে আইনজীবীদের বসার ব্যবস্থা করা মাহবুবের প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে একজন সৎ ও বিনয়ী স্বভাবের আইনজীবী হিসেবে আদালতপাড়ায় পরিচিত। ইতপূর্বেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহবুবুর রহমান। ২০১২-১৩ মৌসুমে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েই জয়লাভ করেন। গত দুই মৌসুম জুয়েল-মোহসীন পরিষদে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোনবারই ব্যর্থ না হওয়া মাহবুব জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।