সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনিত সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে জেলা আদালতের তৃতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত ৮টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ১৭টি পদে দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ও আরো দুটি পদে দুজন প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করেন। সকলের নাম সহ ফলাফল ঘোষণা করা হলেও ভোটের ১৯ ঘন্টা আগে ১৯ জন প্রার্থী বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। গত ২০ জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পেয়েছেন ৬২২ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট।
এই প্যানেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা পেয়েছেন ৫৯৫ ভোট, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বরুণ চন্দ্র দে পেয়েছেন ৫৮৪ ভোট, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল পেয়েছেন ৫৮৫ ভোট, আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট, লাইব্রেরী বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন ৫৮৪ ভোট, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকট হাসিব উল হাসান রনি পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া পেয়েছেন ৫৯১ ভোট এবং কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সাগর পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজিম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান পেয়েছেন ৫৪৯ ভোট, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সুজন প্রধান পেয়েছেন ৫৬২ ভোট ও অ্যাডভোকেট কামরুন নেছা সুবর্ণা পেয়েছেন ৫৬২ ভোট।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৫ ভোট ও সেক্রেটারি পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন ২৩ ভোট।
এই প্যানেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ পেয়েছেন ২২ ভোট, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ১৯ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলম খান পেয়েছেন ৩৫ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট শাহাজাদা দেওয়ান পেয়েছেন ৩৩ ভোট, আপ্যায়ণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৩ ভোট, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা পেয়েছেন ২৪ ভোট, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দীন আহমেদ পেয়েছেন ১৯ ভোট, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান পেয়েছেন ১৭ ভোট, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার পেয়েছেন ১ ভোট, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন পেয়েছেন ২১ ভোট এবং কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন চৌধুরী পেয়েছেন ৩৪ ভোট, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ পেয়েছেন ৩৮ভোট, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব ৪৬ পেয়েছেন, অ্যাডভোকেট আয়নাল হক পেয়েছেন ১৭ ভোট ও অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ ভোট।
এ ছাড়াও সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু ও সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলুর নেতৃত্বে একটি প্যানেল নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন এই পরিষদের ১৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। এই পরিষদের আপ্যায়ণ বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ পেয়েছেন ৩৪ ভোট ও সমাজ সেবা সম্পাদক পদে নির্বাচনে রয়েছেন অ্যাডভোকেট রোমেল মোল্লা পেয়েছেন ৩৪ ভোট।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন, অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম ও সুখচাঁদ সরকার।