ছাত্রলীগ নেতার ধাক্কায় দাঁত হারালো বাস হেলপার, থানায় মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাস হেলপারের দাঁত ফেলে দিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুস্মিত। তবে এই ছাত্রলীগ নেতা মিডিয়াতে সরল স্বীকারোক্তিতে বলেছেন- এই ঘটনার উস্কানীদাতা বাস হেলপার নিজেই এবং সুস্মিতকে ধাক্কা দিলে পাল্টা ধাক্কায় বাস হেলপার পড়ে গিয়ে দাঁত হারিয়েছেন। তবে দাঁত হারিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছেন ওই বাসের হেলপার।

৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় বন্দর থানার বাড়ৈপাড়া এলাকায় এ ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আহত বাস হেলপার আবুল মিয়া বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে আহত আবুল মিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে ঘটনার ওইদিনেই ছাত্রলীগের নেতা সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে মামলা গ্রহণ করা হয়।

আহত বাস হেলপার আবুল মিয়া অভিযোগ করেন, সোমবার সকাল ১০টায় প্রয়োজনীয় কাজে আমি আমার বন্ধুর বাড়ি বাড়ৈপাড়া এলাকায় আসি। ওই সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ৈপাড়া এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুস্মিত ও একই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে পিয়াস এবং একই এলাকার হায়াতুর রহমানের ছেলে সানোয়ার সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন আমাকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে ১টি দাঁত ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সুস্মিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাধন বাস হেলপার আবুল হোসেনের সাথে আমার কোন পূর্ব বিরোধ ছিল না। মুলত বাড়ৈপাড়া এলাকায় কিছুদিন পূর্বে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। একজন অসহায় ছেলেকে একটি পক্ষ বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল।

‘ঘটনার পরে আমি জানতে পেরে মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করি ও বিচার দাবী জানাই। এর জের ধরে ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা না পেয়েও আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। আমার বাড়ির সামনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের পক্ষ নিয়ে ওই বাস হেলপার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং বাড়িঘড় ভাংচুর করে।

ছাত্রলীগ নেতা আরও দাবি করেন- সোমবার সকালে আবুল হোসেন বাড়ৈপাড়া লাইক আহমেদ সিদ্দিকি বাবুর উদ্দেশ্যে এসে ফের পূর্বের ঘটনার সুত্র ধরে আমাকে দেখে বলতে থাকে, সুস্মিত কে? ওকে দেখার খুব স্বাদ ছিল। তখন আমি তাকে বলি আপনি আমাকে কেন দেখতে চান? তখন আমাকে কয়েকটা ধাক্কা মারে। আমাকে সেফ করতে আমিও তাকে ধাক্কা মারলে আবুল হোসেন পড়ে যায় এবং তার দাঁত পড়ে যায়।