সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
যেকোন সময় ঘোষণা হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্বে আসতে যেসব নেতারা পদ প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছিলেন তাদের বেশির ভাগই বিবাহিত ও অছাত্র। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনামতে বিবাহিত ও অছাত্রদের ছাত্রদলের শীর্ষ পদে রাখা যাবে না। একই নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলেরও। কোন অয়াত্র ও বিবাহিত কেউ ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ শীর্ষ প্রথম ৫টি পদে অন্তত স্থান পাচ্ছেনা সেটা প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে কপাল পুড়লো আড়াইহাজারের বিবাহিত ও অছাত্রদের। এক্ষেত্রে সম্ভাবনা বেড়েছে নিয়মিত ছাত্র ও অবিবাহিত নেতাদের।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ মশিউর রহমান রনি বলেছেন, ‘আমাদের কেন্দ্রের নির্দেশনামতেই থানা উপজেলা পৌরসভা ও কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করা হবে। বিবাহিত ও অছাত্রদের অন্তত শীর্ষ পদে রাখা যাচ্ছেনা। যদিও বিষয়টি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশনা রয়েছে ২০০৫ সালের আগে কারো এসএসসি পাশ থাকলে তাকেও রাখা যাবে না। এসব প্রতিবন্ধকতার কারনে আমরা কর্মী সংগ্রহেও নেমেছি। আগে যারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন তাদের বিষয়টিও ভাবছি। আমরা দ্রুত কমিটি ঘোষণা করবো।’ তবে রনি সাফ জানিয়েছেন অছাত্র ও বিবাহিতদের কমিটির নেতৃত্বে রাখা যাচ্ছেনা।
ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছেন অছাত্র, ব্যবসায়ী, বিবাহিত, পার্টটাইম নেতা ও বিতর্কিতদের নিয়ে। শীর্ষ দুই পদের দাবিদার অনেকেই বিয়ে করে পিতা হয়েছেন অনেক আগেই। ছাত্রত্বও নেই তাদের কারোরই। নতুন কমিটি হওয়ার গুঞ্জনে দীর্ঘদিন ধরে পদবঞ্চিত নেতারাও নড়েচড়ে বসেছেন।
নতুন কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- আসাদুজ্জামান আসাদ, মেহেদী হাসান রানা, মোহাম্মদ ফারুক, মোতাহের হোসেন রাফেল, এএইচ হাসান, তুষার মোল্লা, রুহুল আমিন, মো: টুটুল, রতন মিয়া। এদের মধ্যে তুষার ও রুহুল আমি ব্যতিত কারো ছাত্রত্ব নেই। বিয়ের কাজটি সেরে নিয়েছেন অনেক আগে। কেউ এক সন্তানের জনক আবার কেউ দুই সন্তানের জনকও হয়েছেন।