সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রুহুল আমিন সিকদার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এক সময়কার তুখোর এই ছাত্র নেতা তরুণ বয়সে যখন জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই পদে অধিষ্ট হোন তখন অনেকের চোখ কপালে ওঠেছিল। রুহুল আমিন সিকদার জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন এমন বিষয়টি মেনে নিতেও পারেননি নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকেই। তবে সময়ের সাথে সাথে সকল নেতাকর্মীদের ধ্যান ধারণা পাল্টে দিয়েছেন রাজপথের সক্রিয় রুহুল আমিন সিকদার।
জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশি বাধায় পড়েছেন তিনি একাধিকবার। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা খেয়েছেন অনেকগুলো। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে বেশকবার কারাভোগও করেছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান কিংবা জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা যখন থাকছেন দলীয় কর্মসূচিগুলোতে অনুপুস্থিত তখন অগ্রভাগেই আন্দোলনে রাজপথে জেলা বিএনপির ব্যানারের সামনে ঠাঁয় দাড়িয়ে রুহুল আমিন সিকদার। পুুলিশি বাধায় পড়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কিংবা লাঠি পেটার শিকার হচ্ছেন তিনি। তার এমন ভুমিকায় তিনিই হয়ে ওঠেছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একজন। কারন যখন সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে অধিকাংশরাই দলীয় কর্মসূচিতে থাকছেনা তখন রুহুল আমিন সিকদার রাজপথে থাকছেন অগ্রভাগে।
জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ট হওয়ার আগে থেকেই ডজন খানিক মামলায় আসামি হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে কয়েক ডজন মামলায় তিনি নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ কোর্টের বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। অনেকটা আদালতপাড়া হয়ে গেছে তার জন্য দ্বিতীয় বাসস্থান। এমন নিয়মিত মামলায় হয়রানি, রাজপথে হামলা, মামলা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের পরেও রাজপথ ছাড়েনি এই নেতা।
৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার দুই বছর সম্পন্ন হয়। এদিনে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। ওই সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন। যেখানে রাজপথে নিয়মিত সক্রিয়তার অংশ হিসেবে রুহুল আমিন সিকদারও ছিলেন রাজপথে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে রাজপথে দিয়েছেন গলা ফাটানো অগ্নিঝড়া শ্লোগান।