সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আওয়ামীলীগ সরকার আমলে সরকারের উন্নয়নযাত্রায় জনপ্রতিনিধিদের পাশে থেকে সহযোগীতা করছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। রাজনীতির মাঠে সমান তালে রয়েছেন তিনি তার নিজ জন্মস্থান রূপগঞ্জ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে। সেই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমাজেও ইতিমধ্যে হয়েছেন সমাদৃত। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে ১২’শ আইনজীবীরও অধিক আইনজীবী রয়েছেন। এই সমিতিতে তিনি কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে এবং পরবর্তীতে আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে আইনজীবীদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় তিনি একজন নম্র ভদ্র আইনজীবী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসলেও কারো সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন এমন অভিযোগও তার বিরুদ্ধে নাই। সদা হাস্যোজ্জল একজন আইনজীবী।
স্থানীয়রা বলছেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জবাসীর কাছে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোন ধরণের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ানি তিনি। একজন সহজ সরল নম্র ভদ্র আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসলেও কোন ধরণের কালিমা তার রাজনীতিতে নেই।
এলাকাবাসীদের মতে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া একজন পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক কর্মী হিসেবে রূপগঞ্জের মানুষের কাছে পরিচিত। রুপগঞ্জ উপজেলার তিনি একজন বহুল পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। সবাই তাকে সহজ সরল নম্র ভদ্র হিসেবেই চিনেন। সাধারণ জনগণের মাঝে তিনি একজন আপন ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন তার ক্লিন ইমেজ নিয়ে।
অন্যদিকে জানাগেছে, ছাত্রলীগের একজন তৃনমূল থেকে ওঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান এখন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতিতে ১৭ জনের একজন হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এবং এর আগেও তিনি কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার স্বপ্ন রূপগঞ্জের মানুষের সেবক হওয়া। তবে এসব স্বপ্নের মাঝেও রয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম। একজন নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী তীল তীল করে রাজনীতিতে ওঠে আসছেন।
আরও জানাগেল, ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাড়াননি। তবে পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে।
২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন তিনি। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় বয়স বেশি হওয়ার কারনে তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামী পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস ছিলেন। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।
স্বপন ভূঁইয়া রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।