সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সীমানা জটিলতায় নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কমিটির মাঝে হয়ে গেল রীতিমত লড়াই। সেই লড়াইয়ে অনেকটা জয়ী হয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। যেখানে পরাজিত হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীব। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে বন্দরের আরও ৫টি ইউনিয়ন এলাকাকে মহানগর ছাত্রদলের কমিটির সঙ্গে অন্তর্র্ভুক্ত রেখে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু ওই ৫টি ইউনিয়ন এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রতিনিধি নিয়ে কর্মী সভাও করেছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ৫টি ইউনিয়ন মহানগরীতে রাখা হলো। এর আগে জেলা ছাত্রদলের নেতাদের ইঙ্গিত করে মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা স্ট্যাটাজ পোস্ট করেছিলেন, যেখানে আকার ইঙ্গিতে সাবধান করেছিলেন সাহেদ আহমেদ। তবে দীর্ঘদিন এই ৫টি ইউনিয়ন এলাকা জেলা ও মহানগর দাবি করায় এখানে সাংগঠনিকভাবে ছাত্রদলের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক মোল্লা মহানগর ছাত্রদলকে এক চিঠির মাধ্যমে জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্রদল নারায়ণগঞ্জ জেলার অধীন বন্দর থানার ধামগড়, মদনপুর, মুসাপুর, কলাগাছিয়া ও বন্দর ইউনিয়ন ইউনিট সমূহ মহানগর ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন শ্যামল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয় এবং এদিন থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ বলেন, ছাত্রদল স্বতন্ত্র সংগঠন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনে আন্দোলন সংগ্রাম এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবো।