সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানার গারদ থেকে এক আসামিকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। ওই সময় গারদের সেন্ট্রির কাছ থেকে চাবি নিয়ে আসামিকে বের করার চেষ্টা করেন।
এতে পুুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে থানার ভেতরেই মারধর করেন এই নারী নেত্রী। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমা মনিরকেই আটক করে গারদে ভরে দেন পুুলিশ। তবে কয়েক ঘন্টা পর আওয়ামীলীগের শীর্ষ বেশকজন নেতার তদবিরে তাদের জিম্মায় ও ফাতেমা মনির তার মুচলেকায় ছাড় পান।
জানাগেছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাতেমা মনির থানায় গিয়ে মারধর মামলার এক আসামিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে এসে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং থানায় দায়িত্বরত তিনজন পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেন। ওই সময় সেন্ট্রির কাছ থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে গারদ থেকে আসামি বের করার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর ফতুল্লার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছিলেন, দুপুরে ফাতেমা মনির এক আসামিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে এসে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মডেল থানা দায়িত্বরত তিনজন পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেন। এ ঘটনায় তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
একই কথা জানিয়েছিলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন। তবে তিনি বিকেলে জানিয়েছেন, বেশকজন আওয়ামীলীগ নেতার জিম্মায় ও ফাতেমা মনির মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।