সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাবা হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করেছিলেন নিহতের ছেলে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর নিহতের পরিবারে হামলা চালিয়ে নিহতের ছোট ছেলের হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার জানা গেছে, উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় হত্যা মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের লোকজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় মামলার বাদীর ছোট ভাই কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হাতের কব্জি দ্বিখন্ডিত করে ফেলে। এ ঘটনায় বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আগের দিন মঙ্গলবার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামে প্রায় ৮ বছর পূর্বে খুন হন রব মিয়া নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মাঈন উদ্দিন।
গত শনিবার ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ইয়ানুছ আলী, রাসেল, জুয়েল, জাকির, আলী হোসেন, হালিম ও আলামিন সহ ১৫/১৬ জনের ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় মামলার বাদী মাঈন উদ্দিনের ঘরে ঢুকে মাঈন উদ্দিন ও তার স্ত্রী, ছোট ভাই মোহাম্মদ রনি ও মা জাহানারা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় বাদীর ছোট ভাই কলেজ ছাত্র রনির মাথায় গুরুতর আঘাত ও বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে নিহত রব মিয়ার পরিবার। তবে মিডিয়াতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন দাবি করেছেন ওই হামলার সময় তিনি ছিলেন না।