সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার লিখেছেন, ‘পদ-পদবি, কমিটি কিছুই চাইনা, যারা এসবের পিছনে ছুটে তাদেরকে দিয়ে দাও, আমি শুধু চাই অসুুস্থ্য দেশমাতার মুক্তি।’
অন্যদিকে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, হটাৎ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের কদর বেড়েছে। তার অসুস্থ্যতার খবরে এটিএম কামালের বাসায ছুটে গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। কিন্তু দীর্ঘ ৮মাস কারাভোগ করলেও তার জামিনের ব্যবস্থা করেননি তৈমূর। এরপরেও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন এটিএম কামাল। কারাগারে এটিএম কামাল অসুস্থ্যও ছিলেন। অসুস্থ্য ছিলেন জেলের বাহিরে থাকতেও। কিন্তু এটিএম কামালকে কখনও কারাগারে তৈমূর আলম দেখতে গিয়েছেন এমন নজির নাই। কিন্তু হটাৎ করেই তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছেন এটিএম কামাল। যে কারনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর পেছনে ভিন্ন নতুন রাজনীতির মেরুকরণের আভাস দেখছেন নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারির নির্বাচনের পরের বছর দীর্ঘ ৮মাস কারাভোগ করেছিলেন তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এটিএম কামাল যিনি বর্তমানে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ওই সময় এটিএম কামালকে জামিনের ব্যবস্থা করতে কোন ধরণের উদ্যোগ নেননি তৈমূর আলম খন্দকার। এমনকি কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আনা হলেও এটিএম কামালের জামিনের কোন উদ্যোগে নিতে দেখা যায়নি তৈমূর আলমকে। এমন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। তখন এটিএম কামালের পাশে দাড়ান মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। উচ্চ আদালত থেকে বেশকটি মামলা সহ নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকেও জামিন করান সাখাওয়াত।
এরপরেও এটিএম কামালের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন। কিন্তু এটিএম কামালের জামিনের ব্যবস্থা তৈমূর আলম খন্দকার করেছেন এমন খবর পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে এটিএম কামালকে দেখতে কারাগারে তৈমূর আলম গিয়েছেন সেই খবরও পাওয়া যায়নি। এটিএম কামাল যখন জেলের বাহিরে ছিলেন তখনও অসুস্থ্য ছিলেন সেই সময়েও তাকে দেখতে যাননি তৈমূর আলম। কিন্তু হটাৎ করে এটিএম কামালের অসুস্থ্যতার খবরে এটিএম কামালের বাসায় যখন তৈমূর আলম ছুটে গেছেন তখন নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। এর পেছনে কি রাজনীতি থাকতে পারে।
এদিকে সম্প্রতি নেতাকর্মীদের মাঝে চাওর হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি যখন মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় কার্যক্রম স্থগিত তখন নতুন কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে এটিএম কামালকে সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে তৈমূর আলমের ছোট ভাই মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আলোচনায়। আরও খবর বেরিয়েছে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব ফিরে পেতে যাচ্ছেন তৈমূর আলম খন্দকার। ফলে তৈমূর আলমের কাছে হটাৎ করে কেন এটিএম কামালের গুরুত্ব বেড়ে গেল তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যখন এটিএম কামালের বাসায় তৈমূরের ছুটে যাওয়ার ছবি মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়।