সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর নানা বিতর্কের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওইদিন ডিআইটি বানিজ্যিক এলাকায় আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে জেলা বিএনপির সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তথাকথিত পূর্ব পরিকল্পিত ওই সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সম্মেলনের ঘোষণা দিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন প্রয়াত এমপি কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম। ওইদিন নেতাকর্মীদের তোপের মুখে তৈমূর আলম ও কাজী মনিরের নাম ঘোষণা করে অনেকটা পালিয়ে যায় মওদুদ আহমেদ। এর পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা যেখানে কমান্ডার সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি ও আব্দুল হাই রাজুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ওই সম্মেলন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
পরবর্তীতে গত ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে তৈমূর আলম জমানার অবসান ঘটে। দীর্ঘ ৮ বছর জেলা বিএনপির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেননি তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান মনির। যার মধ্যে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে অধিষ্ট থাকলেও কাজী মনির শুধুমাত্র তার আসন ভিত্তিক রূপগঞ্জ এলাকা নিয়েই পড়ে থাকতেন। সেই সুযোগে পুরো জেলা চষে বেড়িয়েছেন তৈমূর আলম। তখন তিনি ৮টি বছর জেলা বিএনপির নেতৃত্বকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। ওই ৮টি বছরে তিনি হাজারো বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছিলেন। তার জমানায় শত শত অসাংগঠনিক ও অরাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছিলেন তৈমূর।
সূত্রমতে, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন শাহআলম মুকুল। মুকুল ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের সঙ্গে রাজনীতিতে। জাফর যখন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে রাজনীতি শুরু করেন তখন জাফরের সঙ্গে শাহআলম মুকুলও ছিলেন। যে কারনে মুকুলের প্রতি ক্ষুব্দ ছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। আর মান্নানের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তৈমূর আলমের। মুকুল জেলা যুবদলের সেক্রেটারি হওয়ার পর অনেকটা মান্নানের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধায় মুকুলকে অব্যাহতি দিয়ে সেই পদে কাজী নজরুল ইসলাম টিটুকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করেন তৈমূর। আবার জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সেক্রেটারি শাহআলম মুুকুল যখন জেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈমূরের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন তখন শাহআলম মুুুকুলকে আবারো সোনারগাঁও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে বলে একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন তৈমূর। ফলে সোনারগাঁয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে যান দুজন!
একইভাবে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর সঙ্গে বিশেষ সুবিধায় সুসম্পর্ক ছিল তৈমূর আলমের। ওই সময় উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান হাবু খসরুর নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেলে হাবুকে সেক্রেটারি পদ থেকে অব্যাহতি দেন তৈমূর। সেখানে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসেবে আবুল কাশেম ফকিরের নাম ঘোষণা করেন তৈমূর। পরবর্তীতে হাবিবুর রহমান হাবু কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে রাজনীতি করেন। বিশেষ কারনে খসরুর সঙ্গে দুরত্ব বেড়ে তৈমূরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় আজাদের সঙ্গে। তখন ডিআইটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আজাদ ও হাবুকে নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সেখানে তৈমূর আলম ঘোষণা দেন আড়াইহাজার বিএনপির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান হাবু। ফলে আড়াইহাজারে সেক্রেটারি হয়ে যান দুজন!
বন্দরের কদমরসুল পৌর বিএনপির সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ ও সেক্রেটারি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাজহারুল হক। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনে যখন তৈমূর আলম কেন্দ্রে কাউন্সিলদের নাম পাঠান সেখানে শাহআলম মাজহারুল হকের স্থলে সেলিম মিয়ার নাম যুক্ত করা হয়। ফলে শাহ মাজহারুল হক কাউন্সিলের কার্ডই পাননি। ওই সম্মেলনের পর নূর মোহাম্মদ পনেছ দাবি করেন তাকে সভাপতি পদে রেখে সেলিম মিয়াকে সেক্রেটারি করে কেন্দ্রীয় বিএনপি কমিটি দিয়েছেন!
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তৈমূর যেখানে শিল্পপতি সফর আলী ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করা হয়। সফর আলী ভূঁইয়া কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মধ্যে তৈমূর আলমের সঙ্গে পরোক্ষ যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর সফর আলী বিদেশে বেড়াতে গেলে সেখানে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে আলী হোসেন প্রধানকে দায়িত্ব দেন তৈমূর। ওই বছরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে জেলা বিএনপি ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে সফর আলীকে স্টেজে ওঠতে না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে আলী হোসেন প্রধানের নাম ঘোষণা দিলে ইফতার পার্টিতে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছিল। তবে সিদ্ধিরগঞ্জে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে পাল্টা কমিটি গঠন করা হয় যেখানে সভাপতি করতেন আব্দুল হাই রাজু ও সেক্রেটারি দাবি করতেন এমএ হালিম জুয়েল। অন্যদিকে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলী হোসেন প্রধান। তিনি জীবদ্দশায় ঋণ রেখে যান। আলী হোসেনের বাসায় গিয়ে তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৈমূর। কিন্তু তিনি তাও রাখেননি।
এর কয়েক মাসের মাথায় তৈমূর আলম খন্দকার জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে উজ্জল হোসেনকে সভাপতি ঘোষণা দেন তিনি। এ বিষয়ে সদস্য সচিব মামুন মাহামুদ দাবি করেছিলেন সেখানে কমিটি দিবে থানা কমিটি। এর বাহিরে কেউ কমিটি গঠন করতে পারেননা। জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করলেও ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে মিডিয়াতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নুরুল হক চৌধুরী দিপুকে জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদে অধিষ্ট করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন তৈমূর আলম খন্দকার।
২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রত্যাশি ছিলেন প্রয়াত জান্নাতুল ফেরদৌস, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মনিরুল আলম সেন্টু ও খন্দকার আবু জাফর। এ নিয়ে জেলা বিএনপি অফিসে বৈঠক করেন তৈমূর আলম। ওই বৈঠকে আজাদ বিশ্বাস বাদে সকলেই জান্নাতুল ফেরদৌসকে সমর্থন করে সরে দাড়ান। কিন্তু মিটিং শেষে তৈমূর কোন ঘোষণা দেননি। কিন্তু মিডিয়াতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তৈমূর আলম জানান আজাদ বিশ্বাসকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে ওই মাসের ২৩ তারিখে মিটিং করা হয়, যা ঘোষণার কাগজে লেখা ২১ তারিখ। অর্থাৎ নেতাদের নিয়ে তৈমূরের মিটিং ছিল নিছক আইওয়াশ।
এক সময় ফতুল্লা থানা বিএনপি ছিল নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন। যেখানে বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবেও ধরা হতো এই ফতুল্লাকে। থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি ছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। কিন্তু কল্যাণ পার্টির কোষাধ্যক্ষ পদ ছেড়ে বিএনপিতে আসা শিল্পপতি শাহআলমের সঙ্গে বিশেষ সুসম্পর্ক থাকায় সেখানে শক্তিশালী সংগঠনক মনিরুল ইসলাম ও সেন্টুকে বাদ দিয়ে শাহআলম ও আজাদ বিশ্বাসকে পকেট কমিটি দেয়া হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন না নেয়ার কারনে সেন্টুকে অব্যাহতি দেন তৈমূর। কিন্তু পরবর্তীতে তৈমূর আলমই সেন্টুকে অব্যাহতি তুলে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ ফিরিয়ে দেন।
এছাড়াও সোনারগাঁও পৌর বিএনপির কমিটি গঠনের সময়ও ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে তৈমূর আলম কমিটি দিয়েছিলেন বলে নেতাকর্মীরা সোনারগাঁয়ের পানাম এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। ওই সময় এমএ জামানের বাসায় এমএ জামানকে সভাপতি ও প্রয়াত বশিরউদ্দীন মোল্লাকে সেক্রেটারি করে পৌর বিএনপির পকেট কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তৈমূর।
তৈমূর জমানায় মহানগর কমিটির আগে ছিল শহর বিএনপির কমিটি। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম ও সেক্রেটারি ছিলেন এটিএম কামাল। এই কমিটিও সম্মেলনের নামে করা হয় আইওয়াশ। এই কমিটির বিরোধীতা করে নুরুল ইসলাম সর্দারকে সভাপতি করে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করায় শহর বিএনপির তৎকালীন সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেওয়ানকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি হাজী শাহিন, সাইদুজ্জামান সাইদ, জমসের আলী ঝন্টু সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন এ্যাকশন নেননি। ওই বছরের উপ-নির্বাচনে নেতাকর্মীদের কোন ধরণের দিক নির্দেশনা না দিয়ে দেশের বাহিরে চলে যান তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
নারায়ণগঞ্জের প্রবীণ বিএনপি জামালউদ্দীন কালু। তাকে কখনও শহর বিএনপির সহ-সভাপতি কখনওবা শহর বিএনপির উপদেষ্টা ঘোষণা করা হতো বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে। তিনি শারীরিকভাবে অসুুস্থ্য হলেও দলের সকল কর্মসূচিতে থাকতেন। এ নিয়ে জামাল উদ্দীন কালু বেশকটি সভায় বলেছিলেন, আসলে আমি কি পদে আছি আমি নিজেই জানি না। কখনও সহ-সভাপতি বলেন কখনওবা উপদেষ্টা বলেন। আমাকে বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দিলেই আমি খুশি।’ জেলা বিএনপির প্রবীণ বিএনপি নেতা হানিফ কবিরের মৃত্যুর পর শোকবার্তায় হানিফ কবির জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন বলে দাবি করেন তৈমূর। অথচ মৃত্যুর আগে তাকে মুল্যায়ণ করা হয়নি। তিনি তৈমূর আলমের আপন ফুফাতো ভাই। যে কারনে নেতাকর্মীরা বলেছিলেন-মৃত্যুর পর সহ-সভাপতি হলেন হানিফ কবির।
বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হাজী নুর উদ্দীনকে প্রার্থী ঘোষণা দেন তৈমূর আলম খন্দকার। কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ না করেই নূরউদ্দীনকে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বন্দরে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন তৈমূর আলম। এমন সময় খবর পান হাজী নূর উদ্দীনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে সেখানে আতাউর রহমান মুকুলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তবে বন্দর উপজেলা ও কদমরসূল পৌরসভাতেও বিএনপির পাল্টা কমিটি গঠন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আতাউর রহমান মুকুলকে সভাপতি ও হান্নান সরকারকে সেক্রেটারি করে পাল্টা কমিটি হয়। আবার কদমরসূল পৌর কমিটিতে আজহারুল ইসলাম বুলবুলকে দিয়ে পাল্টা কমিটি হয়।
আনোয়ার হোসেন আশিক ছিলেন সাত খুন মামলার প্রধান সাজাপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের গানম্যান। আনোয়ার হোসেন আশিকও সাত খুনের মামলায় আসামি হয়েছিলেন। তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। অথচ নূর হোসেনের এই গানম্যানকে মহানগর বিএনপির শ্রমিকদলের সেক্রেটারি করেছিলেন তৈমূর। তৈমূর আলমের মাসদাইরের বাসায় শ্রমিকদলের সম্মেলনে তার মতামতের ভিত্তিতে নেতাকর্মীরা আনোয়ার হোসেন আশিককে সেক্রেটারি পদে ভোট দেয়। টিএইচ তোফা ছিলেন নূর হোসেনের টেক্সি স্টান্ডের কালেক্টর। এই তোফাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তৈমূর। আশিক ও তোফা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। নূর হোসেনের আপন ভাই মিয়া মোহাম্মদ নূর উদ্দীনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রেখেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার।
এসব কর্মকান্ড করে তৈমূর আলম খন্দকার দাবি করেন তিনি একজন মজলুম জননেতা। যে কারনে তার বাড়ির নিচ তলার কক্ষকে তিনি মজলুম মিলনায়তন নাম দিয়েছেন।