সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২০-২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের দুইদিন ব্যাপী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভোট গ্রহণের দিন ওই নির্বাচন পরিদর্শণে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা।
একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরাও নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পরিদর্শনে যান। তারা আওয়ামী প্যানেলের প্যান্ডেলে অবস্থান নেন এবং নির্বাচনী ভোট প্রার্থনায় নামেন। ওই সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল সঙ্গে ছিলেন। নির্বাচনে প্রথম দিনে ভোট পড়েছে ৩ হাজার ৭’শ ৮০টি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সমিতির কার্যকরী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরুণ চন্দ্র দে, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল, আপ্যায়ণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুুল বাশার রুবেল, লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ রাশেদ ভূঁইয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি, সমাজ সেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিব উল হাসান রনি, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূসরাত জাহান তানিয়া, কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুন নেছা সূবর্ণা, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সুজন প্রধান, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, অ্যাডভোকেট আজিম ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সাগর ছাড়াও অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি, অ্যাডভোকেট আসাদুর রহমান বিপ্লব সহ নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য আইনজীবীরা।
জানাগেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর মাঝে ১ঘণ্টা বিরতি ছিল। আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারও একইভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
ঢাকা বারের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা মিডিয়াতে জানান, দুইদিনব্যাপী নির্বাচনের প্রথম দিনে ৩ হাজার ৭’শ ৮০ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১৮ হাজার ১৫০ জন। টানা দু’দিন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলে ভোট গণনা করে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করবেন।
নির্বাচনে ২৩ পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলে মোট ৪৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এই ভোটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুন্সি ফখরুল ইসলাম। যার অধীনে ১০জন কমিশনার এবং ১০০ জন সদস্য কাজ করছেন।
নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের (সাদা প্যানেল) সভাপতি পদে মো. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদকে মো. আহসান তারিক প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে (নীল প্যানেল) সভাপতি পদে মো. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদকে হোসেন আলী খান হাসান প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
সাদা প্যানেলে অপর প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. আবদুল কাদের, সহ-সভাপতিতে মো. ইমাম হোসেন মঞ্জু, ট্রেজারারে মো. আনিসুর রহমান আনিস, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদকে একেএম হাবিবুর রহমান চুন্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদকে সিকদার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান হিমেল, লাইব্রেরি সম্পাদকে মো. আতাউর রহমান খান (রুকু), সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রীতা, অফিস সম্পাদকে আবা খালেদ মাহমুদ দাইয়ান, ক্রীড়া সম্পাদকে সাইফুল ইসলাম সুমন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদকে শায়লা পারভিন পিয়া।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে এএইচএম শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, মো. মাসুম মৃধা, মো. সাব্বির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান মেরিন, মো. রমজান আলী সরদার রানা, এবিএম ফয়সাল সারোয়ার, মো. মাইন উদ্দিন, সুলতানা রাজিয়া রুমা এবং ইমতিয়াজ আহমেদ প্রিন্স।
নীল প্যানেলে অপর প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতিতে মো. আনিসুর রহমান, কোষাধ্যক্ষে আব্দুল আল মামুন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদকে নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদকে শাকায়েত উল্লাহ ভূঁইয়া ছোটন, লাইব্রেরি সম্পাদকে রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদকে হাবিবা কাদের মিলি, অফিস সম্পাদকে এইচএম মাসুম, ক্রীড়া সম্পাদকে মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকে মাহবুবু হাসান রানা।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ শামীম, মোছা. তাছলিমা আক্তার, কাজী আফরোজা সুলতানা ইভা, ইয়াছিন মিয়া, মো. আব্দুল বাসেত রাখী, আজহার উদ্দিন রিপন, এম.আর.কে রাসেল, মো. তানভীর হাসান সোহেল, মো. হোসনী মোবারক, বাবুল আক্তার বাবু ও সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া জাদু।
সবশেষ ২০১৯-২০ মেয়াদে ঢাকা আইনজীবী সমিতির এ নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ ১৮টি পদেই জয়ী হন আওয়ামীপন্থিরা। অন্যদিকে বিএনপিপন্থিরা সিনিয়র সহ-সভাপতি সহ তিনটি সম্পাদকীয় ও ছয়টি সদস্য পদে বিজয়ী হন।