সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম হোসেন দিপু। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। নির্বাচনের পূুর্বে নাশকতার মামলায় আসামি হয়েছিলেন পিএস সেলিম হোসেন দিপু ও তার বাবা চাচা ফুফা খালু বিয়াই সহ তার আত্মীয়স্বজনেরা। যারা নিয়মিত আদালতে নাশকতার মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন।
১ মার্চ রবিবার নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে নাশকতার একটি মামলায় হাজিরা দিয়েছেন সেলিম হোসেন দিপু সহ তার আত্মীয়স্বজন। গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এই মামলাটি দায়ের করেছিল সোনারগাঁও থানা পুুলিশ। যে মামলায় বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপির সমর্থক ও বিএনপি নেতাদের আত্মীয়স্বজনকেও আসামি করা হয়। যে মামলায় বাদ যায়নি সেলিম হোসেন দিপুর বাবা, চাচা, ফুফা, খালু বিয়াই সহ তার আত্মীয়স্বজনেরাও।
মামলায় আসামি হয়েছেন- সেলিম হোসেন দিপুর বাবা আব্দুল করিম মেম্বার, জেঠা গিয়াস উদ্দিন গেসু, চাচা আমজাদ হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশেম, কমু, ফুফা ইমাম উদ্দিন, খালু সিরাজুল ইসলাম, বিয়াই আল আমিন সহ তার আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই।
এ ছাড়াও এ মামলায় আসামি রয়েছেন- বারদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজগর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বিএনপির সিনিয়র নেতা নেহাল উদ্দিন মেম্বার, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাবু, মুসা মেম্বার, বিল্লাল, মুন্সী আব্দুল মতিন, আবুল খায়ের, জাকির, দেলোয়ার, জিলানী মেম্বার, আব্দুল আলী, আনোয়ার, মতি, মনির, আলী হোসেন, জাকির হোসেন, হারুন, ডাক্তার সানোয়ার হোসেনসহ ৮০ জন ব্যক্তি।
এ বিষয়ে সেলিম হোসেন দিপু বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুুলিশ বাদী হয়ে গায়েবী মামলা দায়ের করেছিল। ওইসব মামলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়। এমনকি যারা বিএনপির কর্মী বা সমর্থক তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যারা বিএনপির রাজনীতি করেন তাদের আত্মীয় স্বজনকেও আসামি করা হয়েছে এসব গায়েবী মামলায়। আমার আত্মীয়স্বজনদের সবাইকেই আসামি করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়। যারা দলের ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে রাজনীতি করেন তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে, আবার যারা শুধুমাত্র দলের সমর্থক তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এখন এসব মামলায় নিয়মিত আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।