সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহ পরান (র.)-এর মাজার জিয়ারতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ছয় বন্ধু। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চলছে শোকের মাতম।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ভাটি কালীসীমা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল হকের ছেলে রিফাত(১৮), একই এলাকার রাজমিস্ত্রি আওলাদ হোসেনের ছেলে ইমন(১৭), খোরশেদ আলমের ছেলে গাড়িচালক সোহান(২২), নবীগঞ্জের দিলারবাড়ি এলাকার চায়ের দোকানদার আবুল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী সাগর(২০), আবুল হোসেনের কর্মচারী শামীম(১৬) ও আরেক কর্মচারী হারুন (৪২)।
আহতরা হলো- নবীগঞ্জের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার স্যানেটারি মিস্ত্রি আফজাল হোসেনের ছেলে বিজয়(১৯), একই এলাকার আবিদ(১৯), নবীগঞ্জের কদমতলী এলাকার শাহীন(৩০) ও জিসান(২৪)। আহতদের প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রিফাতের ভাই রিয়াদ বলেন, ১০ বন্ধু মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.)-এর মাজার জিয়ারতে রওনা হয়। রাত আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ভাটি কালীসীমা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাদের মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে বলে খবর পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি আমার ভাই সহ ছয় বন্ধু নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বাকি চার বন্ধু আহত হয়েছেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভাটি কালীসীমা এলাকায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাস ও সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসের ১০ যাত্রীর ছয়জন নিহত ও অপর চারজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।