সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাও উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি গঠনের পরপরই জেলার আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে নেতৃত্বে আসতে মাঠে নেমেছেন ডজন খানিক যুবদল নেতা। তবে এরি মধ্যে যুবদলের পদ প্রত্যাশি এসব নেতাদের মাঝে শুরু হয়েছে প্রতিদ্বন্ধিতা। আর এরা হলেন জেলা যুবদল নেতা সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত, জহিরুল ইসলাম জহির, শব্দর আলী, জাকির হোসেন মেম্বার, মোহাম্মদ ফারুক, আলামিন মোল্লা, নুরুল আমিন, এম জাহিদ হাসান মঞ্জু সহ বেশকজন।
তবে এদের মধ্যে অনেকে জেলার নেতাও বটে। কেউ কেউ আবার নতুন ও অন্য সংগঠন থেকে আগত হয়েছেন যুবদলে। তৃণমূলের দাবি নবীন ও প্রবীণ মিলেই যেন ত্যাগী নেতাদের যোগ্য স্থানে আসীয়ান করে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি মতে, দীর্ঘদিন ধরে আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীদের গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দীন চৌধুরী সালামত ও সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির। তারা দুজনই আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন বলয়ের ঘনিষ্টকর্মী হিসেবে আড়াইহাজার যুবদলের নেতাকর্মীদের কাছে সুপরিচিত। খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রায় প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় সালামত ও জহিরকে। যার ফলে তৃণমূলের সুদৃষ্টি তাদের দুজন দিকেই বেশি। তবে সালামত ও জহির চান আড়াইহাজার উপজেলা যুবদল হোক একটি স্বচ্ছ ক্লিন ইমেজধারী ত্যাগী নেতাদের দিয়ে। যেখানে নবীন ও প্রবীণ তার যোগ্যতা অনুসারে স্থান পাবে।
অন্যদিকে নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, সভাপতি পদ প্রত্যাশি শব্দর আলী বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে ডজন খানিক মামলার আসামী হয়েছেন। চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বর্তমানে আটটি মামলায় হাজিরা দিতে হয় তাকে। মাসের মধ্যে কয়েকদিন পরপরই আসতে হয় আদালতপাড়ায় হাজিরা দিতে। তাছাড়া ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বহুবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। জেল খাটতে হয়েছে কয়েকবার। তাই প্রবীণদের মধ্যে তাকে নিয়েও কেউ ভাবছেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের শীর্ষ পদে আসীয়ান করতে।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং যুবদলের সেক্রেটারি পদ প্রত্যাশি মো: জাকির হোসেন মেম্বার এক সময় প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খানের ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা নেতাকর্মীদের মধ্যে। মাঝখানে খসরুর মৃত্যুর পর সুমন আড়াইহাজার বিএনপির দায়িত্ব নিলে একটু দূরত্ব বাড়লেও অভিমান ভুলে গিয়ে ফের ফিরে এসেছেন সুমনের বলয়ে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামী হতে হয়েছে জাকির মেম্বারকে। আর এ মামলার কারণে ১২৭ দিন কারাভোগ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিসাধনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির রাজনীতি করা যেন তার কাছে একটা নেশায় পরিনিত হয়ে গেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতি করা আসা মোহাম্মদ ফারুককে নিয়ে তরুণ যুবদল নেতাদের ভাবনার শেষ নেই। তৃণমূল নেতা কর্মীরা বলেন, মোহাম্মদ ফারুক ছাত্র রাজনীতিতে ছিল এক নিবেদিত প্রাণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতি করলেও একটি ওয়ার্ডের সদস্য পদও ঝুটেনি তার কপালে। তবুও তার মধ্যে আমরা কোন প্রকার হতাশা দেখতে পাইনি। কিন্তু এ বিষয়ে মোহাম্মদ ফারুক এর কাছ থেকে কোন প্রকার মন্তব্য শোনা যাচ্ছে না আসলে তিনি যুবদলের কোন পদপ্রত্যাশি। তবে তিনি বলেছেন, তৃণমূল যদি চায় তাহলে আমি সংগঠনের শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখি। কারন আমার একটাই উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা। ফারুককে ছাড়াও এম এ জাহিদ হাসান মঞ্জুর, আলামিন মোল্লা, নুরুল আমিনের মত তরুণ যুবদল নেতারা আছেন বেশ আলোচনায়।