সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় ব্যারিস্টার মার-ই-যাম খন্দকারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। ১৫ মার্চ রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দীন, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দীন সরকার সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
এদিকে গত শুক্রবার ফলাফল প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে দলমত নির্বিশেষে নির্বাহী সদস্য পদে সর্বাধিক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার আল্লাহপাকের দরবারে গভীর কৃতজ্ঞতা সহ সকল আইনজীবী বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের সকল আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিতে তিনি আইনজীবীদের কল্যাণ ও আইন পেশার উন্নয়নে নিজেকে সর্বক্ষণ সম্পৃক্ত রেখে আইনজীবীদের পাশে থাকার জন্য নারায়ণগঞ্জের পিতৃতুল্য সিনিয়র আইনজীবী ও সহযোদ্ধা তরুণ আইনজীবী ভাই-বোনদের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করেন।
জানাগেছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার যিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বড় কন্যা।
১৩ মার্চ শুক্রবার সকালে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মার-ই-য়ামের চাচা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, নির্বাচনে মার-ই-য়াম পেয়েছেন ৩৮৮২ ভোট। মার-ই-য়াম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়েও বেশী ভোট পেয়েছেন। তিনি সর্ব্বোচ্চ ভোটে কা নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে ১৪ পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, ট্রেজারার সহ আটটি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেল।
অপরদিকে সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থী ছিলেন। সভাপতি সহ ছয়টি পদে জয় পেয়েছে সাদা প্যানেল।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বড় কন্যা ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার। ব্যারিষ্টার মার-ই-য়াম খন্দকার পরিবারগতভাবেই আইনজীবী পরিবারের সদস্য। তার স্বামী ব্যারিস্টার মোঃ মনোয়ার হোসাইন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য। তার নানা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। তার পিতামহ বৃটিশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার ও প্রপিতামহ জুড়ির বিচারক ছিলেন। ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম এর ছোট বোন নুসরাত খন্দকার একজন ব্যারিস্টার ও তার চাচাতো বোন শবনম খন্দকার একজন আইনজীবী। মার-ই-য়াম ২০০৯ সালে আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ লাভ এবং নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে হাইকোর্ট প্র্যাকটিস করার সনদ প্রাপ্ত হয়ে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন।
ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারের পিতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার শ্রমিকদের একজন সংগঠক ও রাজনীতিবিদ। তার হাত ধরেই তিনি আইন পেশার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষদের আইনগত অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে হস্তশিল্প শ্রমিকদের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে প্রতিবন্ধীদের সেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা অন্ধ কল্যাণ সমিতির সহ সভানেত্রী হিসেবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে শ্রমিক রাজনীতির উপড় মালেশিয়া থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারের জয়লাভে তার চাচা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া জানান ও আইনজীবী সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।