সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে ধরে নিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় ওই জেলার প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে।
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দীনসহ তিন কর্মকর্তাকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তিন কর্মকর্তাকেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। বাকি দুজন হলেন সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলাম। ১৫মার্চ রবিবারের তারিখ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রত্যাহার ও নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরে মাদক মামলায় সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আরিফুল ইসলামের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) নাজিম উদ্দীন বাড়িতে ঢুকে তাঁকে পেটান। আর এনকাউন্টারে দেওয়ারও হুমকি দেন। জেলা প্রশাসকের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণেই তাঁর ওপর নিগ্রহ চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আরিফুল।
কুড়িগ্রামের বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুলকে নিগ্রহ এবং সাজা দেওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরের দিন শনিবার রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের এ ঘটনার তদন্তে কুড়িগ্রাম যান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে কথা জানানো হয়। রবিবার আরিফুল ইসলামকে জামিন দেওয়া হয়। তিনি অবশ্য এখনো জেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কুড়িগ্রমের ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। (সূত্র : প্রথম আলো)