সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মা-ছেলে সহ একই পরিবারের ৩জনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে শ্লীলতাহানি ও নগদ দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে সাদ্দাম ও আক্তারের বিরুদ্ধে।
হামলায় নরপদী গ্রামের আহাদ আলীর স্ত্রী জাহেদা (৫০), তার মেয়ে সালমা (২৬) ও ছেলে প্রান্ত (২২) আহত হয়েছে। ২০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে থানার নরপদী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত জায়েদার স্বামী আহাদ আলী মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তার শ্যালক সাত্তার মিয়া নরপদীস্থ তার নিজ জমি বালু দিয়ে ভরাট করার সময় গত ১৬ মার্চ ওই এলাকার জিয়াবল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম ও মৃত কালাচাঁন মিয়ার ছেলে আক্তার তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাত্তার তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে গত ২০ মার্চ বিকেলে সাদ্দাম, আক্তার, সাদ্দামের পিতা জিয়াবুল, ভাই মিশু, চাচা এলাকার হোসেন, চাচাতো ভাই সিজান সহ ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, চাপাতি ও তলোয়ার সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মালামাল রক্ষায় আহাদ আলী, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, পুত্র প্রান্ত, কণ্যা সালমা ও সোনিয়া এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী সাদ্দাম ও আক্তার গং তাদেরকে হত্যার চেষ্টায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তাদের ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত ৪ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড়লাখ টাকা লুটে নেয়।
এ সময় আহতরা ডাক চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে উপস্থিত গ্রামবাসী আহতদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আহতদের ৩জনেরই অবস্থা আশংকাজনক। এদেরকে ২৪/২৫টি করে সেলাই দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসী সাদ্দাম-আক্তার বাহিনী ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় আহতের পরিবারে চরম শংকা বিরাজ করছে।