সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা মীর সোহেল আলীর ব্যক্তিগত বাড়ির চালক। গাড়িচালক নুরুল ইসলামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই নারী।
জানাগেছে, ২২ মার্চ রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর পাইলট স্কুল এলাকায় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক নুরুল ইসলামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক (৩৮) শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আগুনে পুড়িয়ে দেয়া স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর বাড়ি বরিশালে। তিনি পাইলট স্কুল এলাকার আলী আহম্মদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া এবং স্থানীয় মেরিনা গার্মেন্টে চাকরী করে জীবিকা নির্বাহ করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যাক্তা হয়েও জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রাম করছে। কারো কাছ হাত না পেতে জীবন যুদ্ধে মেরিনা গার্মেন্টসে চাকুরী নিয়েছে। তার সংসারে একটি কন্যা সন্তান ছিল তাকে বিয়ে দিয়ে ভাড়াটিয়া বাসায় একা বসবাস করেন। এই নারীর দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে মীর সোহেলের গাড়ির ড্রাইভার নুরুল ইসলাম সেই নারীর প্রতি কু-নজর দেয়। তার মালিকের ক্ষমতার প্রভাবে নুরুল ইসলাম নারীকে অনেকদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। নুরুল ইসলাম প্রায় সময় নারীকে কু-প্রস্তাব দিতো। এতে নারী রাজি হয়নি। নুরুল ইসলামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গার্মেন্টস ছুটি শেষে বাসায় যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে রাস্তা গতিরোধ করে নুরুল ইসলাম।
তখনি নুরুল ইসলাম নারীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে নারী চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি করে নিজে বাচার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আর নুরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, নুরুল ইসলাম প্রায়ই এক নারীকে উত্ত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। নারী হলো স্বামী পরিত্যাক্তা আর নুরুল ইসলামের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তারপরও নারীকে উত্ত্যক্ত করতো এমন অভিযোগ রয়েছে। রবিবার রাতে নারীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আর এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা নুরুল ইসলামের কথা বলছে। আমরা ঘটনার খবর পাওয়ার পর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।