সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে টানা দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এর আগেরও যখন পৌরসভা ছিল তখনি তিনি একই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হোন। ব্যাপক জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর আবারো জনগণের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখলেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ তার নিজের স্কল পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করছেন মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচানোর জন্য। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন কাউন্সিলর খোরশেদ। একদিকে তৈরি করছেন অন্যদিকে বিতরণ করছেন। তার সঙ্গে সমাজ সেবায় এবার তার স্ত্রী লুনা খন্দকার ও কন্যা সন্তানও। তাদের বড় সন্তান নকিব খন্দকারও গভীর রাত পর্যন্ত স্যানিটাইজার তৈরিতে বাবার সঙ্গে কাজ করছে। তার এমন ভুমিকা ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে সচেতন সমাজে।
স্থানীয়রা বলছেন- সময়োপুযোগী উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতা বাড়াতে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ সহ সাবান দিয়ে হাত ধোয়ে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য করেছেন বিশেষ ব্যবস্থা।
এছাড়াও বাজারে মুনাফালোভীদের সিন্ডিকেট বানিজ্যের ভীড় থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা দিতে শুরু করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর কাজ। শুধু তাই নয় বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো জনসাধারণ মানুষের মাঝে। এতে করে এখন বেশ প্রশংসিত তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গনেই গড়ে তুলেছেন হ্যান্ড স্যানেটাইজার তৈরীর একটি ছোট খাটো কারখানা। নানা উপাদান ও বোতলে সজ্জিত রয়েছে কয়েকটি টেবিল। মিশ্রনের পর যা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত ছোট বড় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যেখানে প্রতিদিনই চলছে হ্যান্ড স্যানেটাইজার তৈরীর কাজ। এতে সহযোগীতায় পাশে রয়েছেন কাউন্সিলের সহধর্মিনী লুনা খন্দকার, ছেলে নকিব খন্দকার ও কন্যা সন্তানও!
পরবর্তিতে বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো সাধারণ মানুষের মাঝে। ইতমধ্যে উনার এ কার্যক্রম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাড়া দিচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিনই কার্যালয় প্রাঙ্গনে হাত ধোয়ে, সুরক্ষিত শেষে গ্লাভস ও মাস্ক পরিহিত হয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে ভিড় জমাচ্ছে লোকেরা। আবার কেউ কেউ উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালী দেখে নিচ্ছে প্রশিক্ষণও।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমার এই ছোট উদ্যোগ। এটা করতে সর্বপ্রথম আমার অভিজ্ঞ কিছু বন্ধুদের পরার্মশ নিয়ে কাজটি শুরু করলে কিছুটা সাড়া পাই। এরপরই (হো) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফর্মূলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আমার আরো অভিজ্ঞতা বাড়ে। এভাবেই আমি এ কাজ শুরু করি। প্রথম ধাপে ১হাজার, দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ও তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার করে এরই মধ্যে ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানো সম্পন্ন করতে পেরেছি। যা বিনামূল্যে বিতরণ করছি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না আসা পর্যন্ত, যতদিন নিজে আক্রান্ত না হই, এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।