প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান বন্ধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ঝুঁকি এড়াতে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৩১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরের নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।

আর দুই সপ্তাহ পরেই বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছর বাঙালিরা বেশ জাঁকজমকভাবে পালন করে নববর্ষের দিনটি। বর্ণিল উৎসবে মেতে ওঠে পুরো দেশ।

দেশবাসী গানে গানে, আনন্দ আয়োজনে নতুন বছরটিকে বরণ করে নেয়। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে পুরো বাঙালি জাতি। কিন্তু এবার সেই আয়োজন করতে পারবে না বাঙালি। চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ঝুঁকি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।

সকালে ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকেরা তাদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে যেন পর্যটক না যেতে পারে, সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। আর রোহিঙ্গা শিবির নিয়ে আমাদের বড় চিন্তা। সেখানে যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে দরিদ্র মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সহযোগিতা যেন সবাই সমানভাবে পায় তা দেখতে হবে। কেউ যেন বারবার না পায়, কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, সেটা দেখতে হবে। এজন্য তালিকা তৈরি করে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। এই কাজে কোনও ধরণের দুর্নীতি অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’

জিনিসের দাম যেন বা বাড়ে সেদিকে নজর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, জিনিসের দাম যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অবাধে দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া যাবে না। এ বিষয়টি মানবিক দিক দিয়ে সবাই দেখবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।

গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘নানা ধরণের গুজব তৈরি হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। নানা ধরণের কথা বলেন। দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ এ কাজটা করেন। আমি বলি গুজবে কেউ কান দেবেন না। গুজব সৃষ্টিকারীরা যদি কোনো মিথ্যা কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’